করোনা নিয়ন্ত্রণে ২২ দফা : রাত ৮টার পর বাইরে বের হওয়া নিষেধ
করোনা নিয়ন্ত্রণে জনসমাগম নিষিদ্ধের প্রস্তাব চূড়ান্ত

করোনা নিয়ন্ত্রণে ২২ দফা : রাত ৮টার পর বাইরে বের হওয়া নিষেধ

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডব কোনোভাবেই থামছে না। চলছে দ্বিতীয় ঢেউ। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার এবং আক্রান্ত ১২ কোটি ৭৭ লাখ। আর বাংলাদেশে গতকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯০৪ জনে।

দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জনে। এদিকে দেশে করোনার সংক্রমণ রোধে সারা দেশে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ ২২ দফা চূড়ান্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  

রোববার এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।  মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই প্রস্তাবনা সরকারের অনুমোদন পেলে এটি জারি হতে পারে।

প্রস্তাবের নির্দেশনাগুলো কমপক্ষে আগামী ৩ সপ্তাহ পালনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।   করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দুটি প্রস্তাব তৈরি করেছে। একটি সারা দেশের জন্য, অপরটি প্রযোজ্য এলাকার জন্য।

সারা দেশের জন্য প্রস্তাবে বলা হয়েছে- 

*অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরি/ জনসমাগম/আড্ডা বন্ধ করা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ৮টার পর বাড়ির বাইরে বের হওয়া নিষেধ।

*সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।

*মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ন্যূনতম উপস্থিতি নিশ্চিত করা (ওয়াক্তিয়া নামাজে ৫-এর অধিক নয় এবং জুমার নামাজে ১০-এর অধিক নয়)।

*পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র/সিনেমা হল/থিয়েটার হল সব ধরনের মেলা বন্ধ রাখা।

*গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন না করা।

*উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্তঃজেলা যান চলাচল বন্ধ থাকা।  

*অভ্যন্তরীণ বিমান ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন না করা।

*সব আন্তর্জাতিক যাত্রী চলাচল (স্থল/বিমান/সমুদ্র) সীমিত করা।  

*বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

*নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জরুরি দ্রব্যাদির ক্রয়/বিক্রয় খোলা/উন্মুক্ত স্থানে নিশ্চিত করা।  

*শপিংমল বন্ধ করা।

*সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা।

*হোটেল- রেস্তোরাঁগুলোয় বসে খাওয়া বন্ধ রাখা।

*জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব অফিস/শিল্পকারখানা বন্ধ রাখা। জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রতিদিন ৩৩ ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর দ্বারা কর্মসম্পাদন করা। অসুস্থ/গর্ভবতী/৫৫ বছরের ঊর্ধ্ব কর্মকর্তা/কর্মচারীর বাড়িতে থেকে অফিস নিশ্চিত করা।


ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সরকারি স্থাপনায় আগুন,প্রেসক্লাবে হামলা

পল্টন মোড়ে লাঠিসোটা নিয়ে হেফাজত নেতাকর্মীদের অবস্থান

হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

সাইনবোর্ডে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৩


*অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা।

*প্রতিষ্ঠানগুলোর সব সভা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সেমিনার অনলাইনে করা। ২০. সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যে কোনো ধরনের পরীক্ষা স্থগিত রাখা।

*প্রয়োজনে উচ্চ সংক্রমিত এলাকাতে লকডাউন করা।

প্রত্যেক এলাকার বর্জ্য স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঢাকনাযুক্ত অবস্থায় সংরক্ষণ এবং নিরাপদ ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানান্তর নিশ্চিত করা।

এদিকে আজ (২৯ মার্চ) সোমবার  স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মলিক জানিয়েছেন, বেশি সংক্রমিত এলাকাকে সম্পুর্ণ বা আংশিক লক ডাউনের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (২৯ মার্চ) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬ জন।

news24bd.tv/আলী