অভিমানের পালা শেষ করে কুড়িগ্রাম শহরের পলাশবাড়ী গ্রামে দীর্ঘ ২৭ বছর নিরুদ্দেশ থাকার পর বাড়ি ফিরেছেন বাচ্চু মিয়া। তার ফিরে আসা কৌতুহল ছড়িয়েছে পুরো গ্রামে । ২৭ বছর আগে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে তিনি কুড়িগ্রাম থেকে চলে যান যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নে। আর এখানকার গোবিন্দপুর গ্রামে কেটেছে তার ২৭টি বছর।
তাকে ফিরে পেয়ে পরিবারে খুশির আমেজ থাকলেও বাচ্চু মিয়াকে এখনো টানে ওই গ্রাম।স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় ৬মাস বয়সী পূত্র ও স্ত্রীকে রেখে ১৯৯৪ সালে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন বাচ্চু মিয়া । এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে তাকে মৃত ভেবে ফিরে পাওয়ার আশা ছাড়ে বাচ্চু মিয়ার পরিবার
কুড়িগ্রাম থেকে বাসে উঠে তিনি চলে যান যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে।
চাকুরি না করেও পরিষদের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সার্বিক দেখা শোনার কাজ করতেন তিনি। এর পাশাপাশি সনতান ধর্মালম্বীদের সৎকার, বিয়েসহ যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে ছিল তার অবাধ পদাচারণ। আচার-আচরণে তিনি পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব, মেম্বারসহ স্থানীয়দের কাছে আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন:
ঘুষ নিয়ে চশমা ফিরিয়ে দিল বানর, ভিডিও ভাইরাল
প্রাণ গেল ভাই-বোনসহ একই পরিবারের চার শিশুর!
তবে জীবন থেকে ২৭টি বছর চলে গেলেও এখনো মান অভিমানের খেড়ো খাতা খুলে বসে আছেন বাচ্চু মিয়া ও তার স্ত্রী জাহেদা বেগম । পরিষ্কার করলেন নিজ নিজ অবস্থানের কথা তবে যশোরের সুন্দলী ইউনিয়নের অভয়নগর গ্রামের এই জনপ্রতিনিধি জানান প্রকৃতি আর মানুষের প্রতি অফুরান ভালবাসায় স্বীক্ত ছিলেন বাচ্চু মিয়া । যাকে কখনো স্পর্শ করেনি ধর্মের বিভেদ ।
দীর্ঘ ২৭ বছর পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম ফিরেন বাচ্চু মিয়া । বিস্ময়ের পাশাপাশি তার জন্য শুভকামনা ছিল দুই গ্রামের মানুষের মনে ।
news24bd.tv/আলী