র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার নানা তথ্য এখনও ‘চুলচেরা বিশ্লেষণ’ চলছে। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন কথা জানান।
সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত দীর্ঘ এক দশকেও শেষ হয়নি। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন তাদের স্বজন-সহকর্মীরা।
তদন্তের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এ পর্যন্ত ৮৫ বার পিছিয়েছে প্রতিবেদন জমার তারিখ।আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে কেন দীর্ঘসূত্রতা- সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
খন্দকার আল মঈন জানান, ‘সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ২ মাস পর র্যাব এই হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায়।
তিনি বলেন, ‘এখনও তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সেই প্রতিবেদন জমা দেব। ’
তিনি আরও বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৬০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে র্যাব। সন্দেহভাজনদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে র্যাব।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এই মামলাটি সরকার, র্যাব অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তবে আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, আমাদের তদন্তের মাধ্যমে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যেন সাজা না পান। ’
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ফ্ল্যাট থেকে সাগর-রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাগর ছিলেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক। আর রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। নৃশংস ওই হত্যাকাে র সময় বাসায় ছিল সাংবাদিক দম্পতির একমাত্র সন্তান মিহির সরওয়ার মেঘ। তখন তার বয়স ছিল সাড়ে চার বছর।
মা-বাবাকে হারানো মেঘ তার নানি নুরুণ নাহার মির্জাকেই ‘মা’ বলে ডাকত। নুরুণ নাহারও সন্তান হারিয়ে নাতিকে অবলম্বন করেই নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সম্প্রতি সেই নানিকেও হারিয়েছে মেঘ। সাগর-রুনির প্রকৃত খুনিদের বিচার না দেখেই গত ৫ জানুয়ারি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান নুরুন নাহার।
news24bd.tv/ কামরুল