নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সাগরে। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে আজকের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ তে পরিণত হতে পারে। যা আগামী মঙ্গলবার (১১ মে) নাগাদ ভারতের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। যদিও এর প্রভাব এখনও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় পড়েনি।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছিল।
আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেতের অর্থ হলো- জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে, যেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার, যা সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হতে পারে।
এদিকে নদীবন্দরের জন্য এর দেওয়া বিশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল গুলোর উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবারের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নামটি রেখেছে শ্রীলঙ্কা। সিংহলি শব্দ ‘অশনি’ এর বাংলা অর্থ ‘ক্রোধ’।
news24bd.tv/কামরুল