শরিকে কোরবানি করার বিধান

প্রতীকী ছবি

শরিকে কোরবানি করার বিধান

ধর্ম ডেস্ক

বুধবার (২২ আগস্ট) পবিত্র ইদুল আজহা। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি বিধানে কেউ একা কোরবানি দিবেন, কেউ আবার অন্যের সঙ্গে শরিকে কোরবানি করবেন। শরিকে কোরবানি করার ব্যাপারে ইসলামে সুনির্ধিষ্ট বিধান রয়েছে।

মাসআলা : ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কোরবানি দিতে পারবে।

এগুলো দ্বারা একাধিক ব্যক্তি মিলে কোরবানি করা সহীহ হবে না। আর
উট, গরু ও মহিষে সর্বোচ্চ সাতজন শরীক হতে পারবে। সাতের অধিক শরীক হলে কারো কোরবানি সহীহ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭০,কাযীখান ৩/৩৪৯)
হযরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে হজ করেছিলাম, তখন আমরা সাতজন করে একটি উট এবং একটি গরুতে শরিক হয়ে কোরবানি করেছি।
(সহীহ মুসলিম, হা. ১৩১৮)

মাসআলা : উট, গরু ও মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করা জায়েজ। (হিন্দিয়া ৫/৩০৪)

মাসআলা : শরিকে কোরবানি করলে কারো অংশ এক-সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না, এমন হলে কোনো শরিকেরই কোরবানি সহীহ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭১)

মাসআলা : যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কোরবানি দেওয়ার নিয়্যাতে কিনে আনে আর সে ধনী হয় তাহলে তার জন্য এ পশুতে অন্যকে শরিক করা জায়েজ হলেও শরিক না করে একা কোরবানি করাই শ্রেয়। শরিক করলে ওই অংশের টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি গরিব হয়, যার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব নয়, তাহলে যেহেতু কোরবানির নিয়্যাতে পশুটি ক্রয় করার মাধ্যমে লোকটি তার পুরোটাই আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছে, তাই তার জন্য এ পশুতে অন্যকে শরীক করা জায়েজ নয়। যদি শরিক করে তবে ওই টাকা সদকা করে দেওয়া জরুরি। গরিব ব্যক্তি কোরবানির পশুতে কাউকে শরিক করতে চাইলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়্যাত করে নিতে হবে। (হেদায়া ৪/৪৪৩, কাযীখান ৩/৩৫০-৩৫১)

মাসআলা : শরিকে কোরবানি করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েজ নেই। (আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭,কাযীখান ৩/৩৫১)

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর