হৃদয়ে বাংলা

তুমি বাংলাদেশের হৃদয় হতে জাগ্রত রবি, সবার আগে জাগি সকালবেলার পাখি।  

তুমি সম্ভ্রমহারা দুখিনী মায়ের অশ্রুধারা, পদ্মা মেঘনা যমুনায় বহিত বসুন্ধরা।  

তুমি মুক্তিসেনা হৃদয়ের দ্বার খোলা বিজয়ী বীর, মধুমতি ধানসিঁড়ি নদীর তীর।

তুমি রবীন্দ্র- জগদীশ- অমর্ত্যে বিশ্বসেরা  ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা, নদীর বুকে ঢেউয়ের খেলা।

তুমি নির্ভয় নীল আকাশ সূর্যরাগে,  নদীর ধারায় পাখির গানে প্রতি প্রাণে শিহর লাগে।    তুমি আম্রকাননের কালো মেঘে ওঠা স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য , বাউলের একতারায় সোনা সোনা ধূলিকণা।

তুমি জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, নির্মলেন্দুর আকাশ জুড়ে মেঘের ভেলা।

তুমি বঙ্গ থেকে ইলিয়াস শাহের সুবে বাংলা, জনম জনমে মিটে না সিরাজ হারানোর জ্বালা।

তুমি ক্ষুদিরাম কলের বোমা শিকল পরা ছল, ভেঙেছে শৃঙ্খল প্রীতিলতা- সূর্যসেনের দল।

তুমি সুকান্তের নতুন শিশুর ছাড়পত্র, শেখ রাসেলের দুর্বোধ্য প্রতিজ্ঞার মুষ্টিবদ্ধ অঙ্গিকার।

তুমি রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, গাফফারে সালাম-জব্বার শফিক- রফিক বরকতে বাংলাকে স্মরি।

তুমি বঙ্গে মাতরমে বঙ্কিম, জাগরিত রোকেয়ায় শরৎ- মধুসূদনে চির অমলিন।   তুমি সন্নাসী ফকির মজনু শাহ, বীর তিতুমীর শরিয়তের বিদ্রোহের বাহ্বা।

তুমি শাহজালালের পবিত্র পদধুলি, ছড়িয়ে চারদিক শান্তির অনন্ত বুলি।

তুমি নেতাজীর মন্যুওয়েল, বিদ্রোহী নজরুল বেশ এত ভাবি তবুও ভাবা হয় না কভু শেষ।

তুমি সলিমুল্লাহ-মোহসীন চির দুর্বার দুর্নিবার, ধ্বনিতেছো দীপ্ত ধ্বনি বারবার।

তুমি শেরেবাংলায় মুক্ত পথের দিশা, গর্জনে তর্জনে নাড়িয়েছো ব্রিটিশসভা।

তুমি দিকে দিকে ভাসানীর খামোশ, ছড়িয়েছো আসসালামু আলাইকুমে খ্যাতির যশ।

তুমি সোহরাওয়ার্দীর স্বপ্নঘোর, রেসকোর্স ময়দানে উদিত করেছো সূর্যশোভিত ভোর।  

তুমি মানিক মিয়ার মুসাফিরে উন্নত রণবীর, জয়বাংলায় জয়ধ্বনি শেখ হাসিনাতে উন্নত শির।

তুমি চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারা বহমান, অবিরাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

 

লেখক: সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।