অতিরিক্ত সবকিছুই খারাপ, এমনকি দরকারি জিনিসও

সুষম খাবার (ব্যালেন্সড ডায়েট) খান। সুষম খাবার হলো সেটাই যেখানে শর্করা, আমিষ, স্নেহ এই তিনটি প্রধান, আই রিপিট প্রধান খাদ্যোপাদান এর পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেল ও পানি সুষম মাত্রায় উপস্থিত থাকে৷ 

অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে খাবার থেকে মোট ক্যালোরি কমিয়ে দিন। কিন্তু রেশিও বা অনুপাত ঠিক রাখুন।

বিশেষ প্রয়োজনে রেজিস্টার্ড চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদ আপনার বয়স, পেশা, জেন্ডার, শরীরে বিদ্যমান অসুখ, কি ওষুধ খাচ্ছেন ইত্যাদি  বিবেচনায় রেখে অনুপাত সামান্য কমবেশি করতে পারেন। কিন্তু কোন প্রয়োজনীয় খাদ্যোপাদানকে জিরো বা জিরোর কাছাকাছি করে দেবেন না।  

ওজন কমাতে খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম বা এক্সারসাইজের উপর গুরুত্ব দিন। যে কাজ করলে শরীরে ঘাম ঝরে ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় সেটিই শারীরিক প্ররিশ্রম।  

শারীরিক পরিশ্রম ছাড়া ওজন কমানো আর ডেস্টিনি করে দ্রুত বড় লোক হওয়া একইরকম চিন্তা। এই জাতীয় প্রলোভনকে এভয়েড করতে শিখুন।  

দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা একটি অবৈজ্ঞানিক, ক্ষতিকর, ঝুঁকিপূর্ণ চেষ্টা। এটিকে দীর্ঘমেয়াদের পরিকল্পনা হিসেবে গ্রহণ করাই উত্তম।   

আরও পড়ুনঃ

বগুড়ার শেরপুরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বশুর নিহত

জন্মদিনে প্রায় ৩ কোটি টাকার গাড়ি কিনলেন রণবীর

‘নগদ’-এর পিন রিসেট করা যাবে নিজে নিজেই

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় (মেডিসিনের টেক্সট বুক অনুযায়ী) মাসে দুই কেজি ওজন কমানো হলো আদর্শ পরিকল্পনা। এর সামান্য কম বেশি হতে পারে। কিন্তু সপ্তাহে দুই কেজি কমলে আপনি ধরে নেবেন আপনি সঠিক পথে নেই।  

দ্রুত ওজন কমালে হৃদরোগ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, কিডনির সমস্যা, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে। অতিরিক্ত সবকিছুই খারাপ। এমনকি দরকারি জিনিসও অতিরিক্ত খারাপ।

লেখাটি গুলজার হোসাইন উজ্জ্বল-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv নাজিম