সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নিজের ধরণ পরিবর্তন করছে করোনাভাইরাস। বর্তমানে সার্স-কোভিড-২ মারাত্মক হয়ে উঠছে- এমনই মত গবেষকদের। ২০২০ সালের শুরুতে যখন করোনাভাইরাস প্রথম চিহ্নিত হয়, তারপর থেকে এটির অসংখ্য মিউটেশন হয়েছে।
আর মিউটেশনের মাধ্যমে পরিবর্তিত ভাইরাসকে বলা হয় ভেরিয়েন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেশিরভাগ মিউটেশনের ফলে ভাইরাসটির মূল গঠনের ওপর তেমন কোনো প্রভাবই আসলে পড়ে না।
তবে বিশেষজ্ঞরা মূলত করোনার ৪টি ভেরিয়েন্ট নিয়ে বেশি চিন্তিত। সেগুলো হলো- আলফা, বেটা, গামা এবং ডেল্টা (ভারত)।
ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ-
করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আবার অনেকের উপসর্গ না থাকলেও এই ভাইরাসের বাহক হতে পারেন।
এই ভেরিয়েন্টের সবচেয়ে সাধারণ হলো উচ্চ মাত্রায় জ্বর। ফলে শরীর ব্যথা হতে পারে।
আরও একটি লক্ষণ হলো, অস্বাভাবিক কাশি হওয়া। যদিও কাশির সঙ্গে কফ ওঠে না।
পরিশ্রম না করেও যদি আপনি ক্লান্তি অনুভব করেন কিংবা দুর্বল হন সেটিও ডেল্টা ভেরিয়েন্টের উপসর্গ হতে পারে।
অতিরিক্ত মাথাব্যথা ডেল্টা ভেরিয়েন্টের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। তীব্র মাথাব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে এতে আক্রান্ত হলে।
আরও পড়ুন
আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে যে আমলকরোনা টিকা নেওয়ার পরও আপনি ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হতে পারেন। যদি এমনটি হয় তাহলে দেখা দেয় মাথাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথার মতো লক্ষণ, যা সাধারণ ফ্লু’র মতো।
করোনার এই ভেরিয়েন্টগুলো থেকে রক্ষা পেতে হলে টিকা নেওয়ার পরও মাস্ক পরতে হবে, সব ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
news24bd.tv/এমি-জান্নাত