রহস্যময় আগুনে এলাকায় আতঙ্ক, উৎস খুঁজে পাচ্ছে না কেউ

বরগুনার একটি গ্রামে হঠাৎ করেই বিভিন্ন স্থানে জ্বলে উঠছে আগুন। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ছে বসত ঘর, সহায় সম্বল হারাচ্ছে মানুষ। একের পর এক এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে আগুন লেগেই চলেছে। হঠাৎ অলৌকিক এমন আগুনে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু কেউ জানেন না কী কারণে ধরছে এমন আগুন।

মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে গ্রামে এমনটা হতে পারে। আবার ইথেন, প্রোপেন বা বিউটেন গ্যাসও হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, বদ জ্বিনের প্রভাবে এমনটা ঘটছে।

বরগুনা সদর উপজেলার ৮ নং সদর ইউনিয়নের পোটকাখালী গ্রাম। এই গ্রামের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আগুন আতঙ্ক। গ্রামে এক মাস আগে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও পরের দিন আবারও গ্রামের ৮টি বাড়িতে অলৌকিকভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে প্রতিদিনই ওই গ্রামে লাগাতার আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। তবে কীভাবে এই আগুন লাগছে তা কেউই বলতে পারছেন না। আগুন আতঙ্কে দিন পার করছেন ওই গ্রামের শতাধিক পরিবার।

আগুনের আতঙ্কে কাজ ফেলে দিনে রাতে বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন পুরুষরা। ঘরের বাইরে রান্না করছেন গৃহিণীরা। অনেকেই সন্তানদের পাঠিয়ে দিয়েছেন স্বজনদের বাড়িতে। হঠাৎ করে লাগা এমন অলৌকিক আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ঘরের জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হচ্ছে। ফলে দুশ্চিন্তা নিয়ে দিন পার করছেন ঢলুয়া এলাকাবাসী।

আগুন আতঙ্কের ঘটনায় পোটকাখালী গ্রামের শতাধিক পরিবারের রান্না না করতে পারায় খাওয়া ধাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। তাই স্থানীয় এলাকাবাসী দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

অনেক ক্ষেত্রে এমন বিষয়কে স্থানীয়রা ভৌতিক দাবী করলেও এর সত্যতা পাওয়া যায় না। তবে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে গ্রামে এমনটা হতে পারে। আবার ইথেন, প্রোপেন বা বিউটেন গ্যাসও হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষক মাহবুবুর রহমান।  

দেশের অনেক স্থানেই প্রায়ই এমন ঘটনা শোনা যায়। আমার কাছে মনে হয় ঔ এলাকায় বদ জ্বিনের প্রভাবে এমনটা হয়েছে বলে দাবী করছেন ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানেজার মো: বদিউজ্জামান।  

পরীক্ষা নীরিক্ষা করে এলাকায় এমন অলৌকিক আগুনের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্প কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় এলাকাবাসীর।

আরও পড়ুন

কারাগার থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন দুই শিক্ষার্থী

news24bd.tv এসএম