চরম অর্থ-সংকটে আফগানরা

আফগানিস্তানে দারিদ্র ও অর্থ-সংকট চরমে ঠেকেছে। কোনরকমে খেয়ে পড়ে বাঁচতে এখন কিডনিসহ শরীরের  নানান অঙ্গ  বিক্রি করছেন আফগানরা। চিকিৎসকরা বলছেন, কিডনি বিক্রি করা প্রায় সবাই ভয়ংকর অর্থ কষ্টে পরা মানুষ। এ পরিস্থিতিতে দেশটিকে ৭৮ কোটি ডলারের ত্রাণ দিচ্ছে  যুক্তরাষ্ট্র।

কাজ নেই। অর্থ নেই। তারওপর কাঁধে ঋণের বোঝা। সন্তানদের ক্ষুধার্ত মুখগুলোর দিকেও তাকাতে পাচ্ছেন না। পারছেন ভিক্ষা করতেও। তাইতো বাধ্য হয়েই নিজের কিডনি বিক্রি করেছেন গোলাম হযরত।

তিনি বলেন, ভিক্ষা করতে পারবো না। তাই বাচ্চাদের মুখে একটু থাবার তুলে দিতে ২ লাখ ৩০ হাজার আফগান নিজের কিডনি বিক্রি করেছি।

বেঁচে থাকার চেষ্টায় এমন নানা কাজ করছেন অনেকে।

একজন গ্রামবাসী মীর আহমেদ বলেন, অনেক মানুষ ভয়ে দেশ ছেড়েছেন। কাজের সন্ধানেও দেশ ছাড়তে মরিয়া অনেকেই। ঋণে পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে পালাতে চাইছেন অনেকে। কেউ কেউ বিক্রি করছেন কিডনি। কেউ আবার বিক্রি করছেন তাদের সন্তান।

হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে কিডনিসহ নানান অঙ্গ বিক্রির হিড়িক। ডাক্তার নাসির আহমেদ, ইউরোলজিস্ট এবং কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সাজর্ন বলেন, কিডনি বিক্রি করা দাতাদের মধ্যে শতকরা নিরানব্বই শতাংশই চরম আর্থিক সংকটের কারণে করছেন। ১ শতাংশ আছেন যারা পরিবারের সদস্যদের কিডনি দান করেন।

আরও পড়ুন:

ফিলিপাইনের জেলে বন্দিদের সংঘর্ষে ৬ জন নিহত

আফগানদের এমন দুর্দশা তালেবানরা রাতারাতি  ঘুরিয়ে ফেলবে, এমন সম্ভাবনাও নেই। তাইতো যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির জন্য আরও ৩০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সবমিলিয়ে আফগানদের ৭৮ কোটি ২০ লাখ ডলারের সহায়তা দেবে বাইডেন প্রশাসন। এছাড়াও আফগানিস্তানকে অতিরিক্ত ১০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেবে।  ফলে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে মোট ৪৩ লাখ ডোজ টিকা পাবে কাবুল।

news24bd.tv/এমি-জান্নাত