যে কারণে মিয়ানমারে মডেলের কারাদণ্ড 

সংগৃহীত ছবি

যে কারণে মিয়ানমারে মডেলের কারাদণ্ড 

অনলাইন ডেস্ক

নগ্ন ছবি ও ভিডিও ছড়ানোর দায়ে ন্যান মিউ স্যান নামের এক মডেলকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার আদালত। দুই সপ্তাহ আগে একটি পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। ন্যান মিউ চিকিৎসক হিসেবে কাজও করতেন।  

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে দণ্ডপ্রাপ্ত ন্যান মিউ স্যানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। তিনি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় বসা সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছিলেন।  


ন্যাং মওয়ে সানের কারাদণ্ডের বিষয়ে দেশটির জান্তা কর্তৃপক্ষ বলছে, নগ্ন ছবি ও ভিডিও অনলিফ্যান ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে তিনি দেশটির সংস্কৃতি ও ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছেন। তিনিই মায়ানমারের প্রথম ব্যক্তি যিনি শুধুমাত্র ফ্যান কন্টেন্টের জন্য দণ্ডিত হলেন।

থিনজার উইন্ট কিয়াও নামে দেশটির আরও একজন মডেল সোশ্যাল মিডিয়ায় জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার ছবি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া গত আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আগামী অক্টোবরে বিচারের মুখোমুখি 
করা হবেন।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তিনি অর্থের জন্য যোগাযোগমাধ্যমে নগ্ন ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছিলেন। এ অপরাধে দেশটিতে সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজার আইন রয়েছে। তিনি যে মামলায় সাজা পেয়েছে, এ ধরনের মামলায় কোনো আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দেয় না জান্তা সরকার।

ইয়াঙ্গুনের একটি কারাগারে বন্দি আছেন এই মডেল। কারাগারটিতে অনেক রাজনৈতিক নেতাও বন্দি রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মডেল স্যান ইয়াঙ্গুনের উত্তর দাগন টাউনশিপে থাকতেন। এই এলাকা সামরিক আইন বলবৎ রয়েছে।

তার মা বিবিসির বার্মিজ সার্ভিসকে বলেন, তিনি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু সাজার বিষয়ে তিনি জানতেন না। তবে বুধবার সামরিক জান্তার মিডিয়ায় সাজার রায় আসার পর বিষয়টি জানতে পেরেছেন।

news24bd.tv/হারুন