রুশ হামলা মোকাবেলায় ড্রোন চেয়েছে ইউক্রেন

সংগৃহীত ছবি

রুশ হামলা মোকাবেলায় ড্রোন চেয়েছে ইউক্রেন

অনলাইন ডেস্ক

স্থল ছাড়াও কৃষ্ণ সাগর থেকে যুদ্ধ জাহাজ দিয়ে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া। জলভাগ থেকে এসব হামলা মোকাবেলায় একটি নৌ ড্রোন বহর তৈরি করতে আগ্রহী কিয়েভ। এ জন্য অর্থ জোগানে একটি ক্যাম্পেইনও চালানো হচ্ছে; যা সমর্থন করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
খবর আল-জাজিরার।

প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অর্থ জোগানে অনলাইনে ‘ইউনাইটেড ২৪’ নামক ক্যাম্পেইন চালিয়ে আসছে ইউক্রেন। সেই ক্যাম্পেইনের আওতায় এবার নৌ ড্রোন বহরের জন্য অর্থ জোগাড় করছে জেলেনস্কি প্রশাসন।  

আল-জাজিরা বলছে, ইউক্রেন অন্তত ১০০টি ড্রোন চাইছে যেগুলো কি না সমুদ্র থেকে অপারেট করা যায়। প্রতিটি ড্রোনের জন্য তাদের গুনতে হবে ২ লাখ ৭৪ হাজার ডলার।

তহবিল সংগ্রহের ইউক্রেনের সাইটটি বলছে, আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। এর পাঁচটির মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে জলভাগ থেকে।

ড্রোনের জন্য অর্থ জোগানের বিষয়টিকে সমর্থন দিয়ে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে এক বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধ জাহাজ থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আমাদের জলভাগ ও শহরগুলোকে রক্ষ করতে হবে। নৌ ড্রোনগুলো শস্য পরিবহনকারী বেসামরিক জাহাজগুলোর করিডোরকে মুক্ত করতেও সহায়তা করবে। ’

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপরেই দুদেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই কৃষ্ণ সাগর ও ক্রিমিয়ার জলভাগ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া। এ ছাড়া কিয়েভ ও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ইরানি ড্রোন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।

আল-জাজিরা বলছে, যুদ্ধ শুরুর পর পরই কৃষ্ণ সাগরের ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে অবরোধ কার্যক্রম শুরু করে রুশ বাহিনী। এর ফলে খাদ্য শস্য রপ্তানি করতে পারছিল না বিশ্বের অন্যতম খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ ইউক্রেন। প্রভাব পড়ে গোটা বিশ্বে। তবে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্তায় গত জুলাইয়ে তিনটি বন্দর থেকে অবরোধ তুলে নেয় রাশিয়া।

গত মাসে কৃষ্ণ সাগরের ক্রিমিয়ার অংশে তিনটি  রুশ জাহাজে হামলা চালায় ইউক্রেন। এর জেরে শস্য রপ্তানির চুক্তি থেকে সরে আসে ঘোষণা দেয় রাশিয়া। তবে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে সেই চুক্তিতে ফিরে আসে মস্কো; যার সময়সীমা আগামী সপ্তাহে শেষ হবে।

নৌ ড্রোন তহবিল সংগ্রহ অভিযান সম্পর্কে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, লাখ লাখ মানুষ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রটিকে সমর্থন করবে। ইতোমধ্যে সবাই দেখেছে এটি কীভাবে কাজ করে। ’

news24bd.tv/মামুন