পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, প্রাণ গেল নকশা তৈরির কারিগরের

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে মকবুলের লাশ

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, প্রাণ গেল নকশা তৈরির কারিগরের

অনলাইন ডেস্ক

বুধবার বেলা আড়াইটা। বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে হঠাৎ ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ, টিয়ার শেল নিক্ষেপে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নয়াপল্টন এলাকা। এ ঘটনায় আহত হয় পুলিশসহ বিএনপি নেতা-কর্মীরা।

তবে এই সংঘর্ষে প্রাণ হারান মকবুল নামে এক নকশা তৈরির কারিগর।

কোনো রাজনৈতিক দলের না হয়েও সংঘর্ষে নিহত হলেন এই সাধারণ ব্যক্তি। যার লাশ নিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ।

একমাত্র উপার্জনক্ষমকে হারিয়ে অনেকটা নিঃস্ব পরিবারটি।

মৃত আব্দুস সামাদ ও জোহরা খাতুনের ছেলে মকবুল রাজনাধীর মিরপুরের বাউনিয়াবাদ টিনশেড কলোনিতে থাকতেন। নকশার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।

বিএনপি দাবি করছে, মকবুল তাদের দলীয় কর্মী। তবে নিহতের পরিবার বলছেন, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না মকবুল। তবে কেন পল্টনে গেলেন মকবুল, এ বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি নিহতের পরিবার।  

শোকে বিহ্বল মকবুলর স্ত্রী হালিমা বলেন, ‘১০ বছর আগে ভালোবেসে মকবুলকে বিয়ে করেছি।  আজ সেই ভালবাসার মানুষটির নিথর দেহ পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। ’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘পল্টন থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি কোন দলের কর্মী ছিলেন সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ’

নিহতের বোন আয়শা আক্তার জানান, সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে নাস্তা না করেই বের হন মকবুল। তখন বলেন, ব্যবসার মালামাল কিনতে যাচ্ছেন। এরপর সন্ধ্যার দিকে টিভিতে তার মৃত্যুর খবর শুনতে পান। পরে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তার মরদেহ দেখতে যান।

news24bd.tv/মামুন