পূর্বাচলে চলছে বাণিজ্যমেলার ব্যাপক প্রস্তুতি

পূর্বাচলে চলছে বাণিজ্যমেলার ব্যাপক প্রস্তুতি

অনলাইন ডেস্ক

পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু-চায়না বাংলাদেশ এক্সিবিশন সেন্টারে আগামী পহেলা জানুয়ারি বসছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসর। এরইমধ্যে মেলার স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দিন-রাত এক করে কাজ করছেন নির্মাণশ্রমিকরা। এবার যাতায়াত ব্যবস্থা গতবারের চেয়ে ভালো হওয়ায় এবং স্টল সংখ্যা বাড়ায় মেলা জমজমাট হওয়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, স্টলগুলোতে হার্ডবোর্ড কাটা ও বসানোর কাজ চলছে। আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে লাইটিং ও রঙের কাজ শেষ হবে বলে জানান শ্রমিকরা।  

অন্যদিকে এক্সিবিশন সেন্টার ‘বি’-তে ২০টির বেশি স্টল বানানোর কাজ চলছে। হার্ডবোর্ডের পাশাপাশি স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি হচ্ছে স্টলগুলোর কাঠামো।

এ ছাড়া এক্সিবিশন সেন্টারের বাইরে অধিকাংশই বড় স্টল ও প্যাভিলিয়ন। নির্মিত হচ্ছে স্টিল ও কংক্রিটের গাঁথুনিতে। ভেতরের তুলনায় বাইরের স্টলগুলো কাজের অগ্রগতি ভালো। হার্ডবোর্ড ও বাঁশ দিয়ে তৈরি স্টলও আছে। কয়েকটি অস্থায়ী দ্বিতল প্যাভিনিয়নের অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। বালু দিয়ে ভরাট ও ইট দিয়ে দেওয়াল তৈরির কাজ চলছে।

বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার ইয়াছিন বলেন, ১০-১২ দিনের মধ্যে নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়ে হবে। মেলায় অন্যান্য স্টল নির্মাণের কাজও খুব দ্রুত হচ্ছে দেখতে পাচ্ছি।

মেলায় স্টল নির্মাণ করতে আসা আনন্দ মেটাল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের ম্যানেজার চৈতন্য দাস বলেন, ছোট-বড় মিলিয়ে আমরা ১৫টি স্টল নির্মাণের কাজ পেয়েছি। গত ২৮ নভেম্বর থেকে ১৬ জন শ্রমিক দিন-রাত কাজ করছে। বেশকয়েকটি প্যাভিলিয়নের নির্মাণকাজ শেষের দিকে।

কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ৩০০ ফুট মূল সড়ক ধরে পৌঁছাতে হয় পূর্বাচল বাণিজ্যমেলায়। রাস্তার নির্মাণকাজ চলায় গতবছর দর্শনার্থীদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে দর্শনার্থীও ছিল তুলনামূলক কম। এবার সড়কের অবস্থা কিছুটা ভালো। তাই দর্শনার্থীর আগমন গতবারের চেয়ে বেশি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

ইরানি ফাইবারের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, গতবার মেলার শুরুটা ভালো না হলেও শেষের দিকে জমজমাট ছিল। এবার যেহেতু স্টল বেশি এবং রাস্তাও ভালো, তাই মেলা প্রথম থেকেই জমে উঠবে বলে আশা করছি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, স্টলগুলোর নির্মাণকাজ ৩০ ডিসেম্বরের আগে শেষ হবে। এবার মেলায় একটি মিনি শিশুপার্কও থাকছে। এ ছাড়া গতবার ২২৫টি স্টল ছিল। এবার স্টল হবে ৩৩১টি। গতবারের তুলনায় এবারের মেলা বেশি জমজমাট হবে।