রামরাই দিঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম

রামরাই দিঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম

আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও :

শীত এলেই প্রকৃতি সজ্জিত হয় তার অপার সোন্দর্যের লীলাখেলায়। তারই বহিপ্রকাশ ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত পুরনো ঐতিহাসিক রামরায় দীঘির। অতিথি পাখির আগমনে তার নতুন সাজ আরও বাড়তি সৌন্দর্যে মোহিত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম হয়েছে এই রামরাই দিঘিতে।

পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে পুরো এলাকা মুখরিত হচ্ছে প্রতিদিন। পাখি প্রেমি ও সৌন্দর্য পিপাসুরা এক ঝলক পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসেন দুর দূরান্ত থেকে।

রানীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে ৪ কি.মি. দূরে উত্তরগাঁও মৌজায় বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাশয় রামরাই দিঘীর অবস্থান। প্রতিদিন এক হাজারের বেশি পর্যটক আসেন দিঘিটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

প্রায় ৪২ একর জমিজুড়ে রামরাই দিঘিটি অবস্থিত। প্রতি বছরেই এই দিঘিতে আসেন অতিথি পাখির একটি দল।  

দেশের নদ-নদী, হাওর-বাওড়ের ভালোবাসার টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রামরাই দিঘীতে আসে এসব পাখি। শীত এলেই নতুন রূপে সাজে পুরও দিঘির জলাশয়। অতিথি পাখি ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আর মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখতে পাখি প্রেমি ও সৌন্দর্য পিপাসুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত পর্যটন কেন্দ্রর পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসেন প্রতিনিয়ত।

অতিথি পাখির মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরাও। আমজাদ হোসেন নামের এক দর্শনার্থী বলেন, আমি পঞ্চগড় থেকে এসেছি শুধু মাত্র রামরাই দিঘির এই পাখিগুলো দেখার জন্য। এখানে পাখি গুলোর যা কিচির মিচির যা মন মুদ্ধ করে দেয়।

আরেক দর্শনার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই পাখিগুলো প্রতিবছর শীতেই আসে এই দিঘিতে। শুনেছি অনেকে এগুলোকে মেরে ফেলে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এসব পাখি যারা মারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

পাখি শিকার করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতান জুলকার নাইন কবির।