জলে গেল ব্রেসওয়েলের মহাকাব্যিক ইনিংস

সংগৃহীত ছবি

জলে গেল ব্রেসওয়েলের মহাকাব্যিক ইনিংস

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের দেওয়া ৩৫০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৩১ রানেই নেই ৬ উইকেট। ইনিংসের মাঝপথেই নিউজিল্যান্ড বড় হারের শঙ্কায়। এমন বিপদের সময়ে দলের হাল ধরলেন দুই মিচেল। ব্রেসওয়েল এবং স্যান্টনার সপ্তম উইকেটে গড়লেন রেকর্ড জুটি।

ঝোড়ো ফিফটি করে স্যান্টনার বিদায় নিলেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন ব্রেসওয়েল। তবে তার মহাকাব্যিক ইনিংসটিও যায় বৃথা। ম্যাচটি কিউইরা হেরেছে ১২ রানে।

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত শুভমন গিলের ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে স্কোরবোর্ডে তোলে ৩৪৯ রান।

সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৮ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে কিউইরা। বড় হার তখন চোখ রাঙাচ্ছিল সফরকারীদের। সে সময়ই দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল-স্যান্টনার। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১৬২ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ, কিউইদের পক্ষে সর্বোচ্চ।

এই রেকর্ড জুটিতেই নিউজিল্যান্ড ফিরে আসে ম্যাচে। ৪৫ বলে ৫৭ রান করে স্যান্টনার বিদায় নিলেও একদিনের ক্রিকেটে তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্রেসওয়েল নিউজিল্যান্ডকে রেখেছিলেন জয়ের পথেই। চার-ছয়ের জোয়ারে স্বাগতিক দর্শকদের রীতিমতো থমকে দিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ ওভারে শারদুল ঠাকুরের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে তিনি কাটা পড়েন। ফলে দলকে অবিশ্বাস্য জয়টি এনে দেওয়া হয়নি ব্রেসওয়েলের।

ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ২০ রান। প্রথম বলেই ৬ মেরে ভারতের শারদুলের ওপর চাপ বাড়ান ব্রেসওয়েল। পরের বল সেই চাপে ওয়াইড দিলেও, দ্বিতীয় বৈধ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পা দেন ব্রেসওয়েল। আম্পায়ার আউট দিয়ে দেন ব্রেসওয়েলকে। রিভিউ নিলেও এই বাঁহাতি ব্যাটার বাঁচতে পারেননি। ফলে ১৪০ রানে শেষ হয় ব্রেসওয়েলের নান্দনিক ইনিংসটি।

মাত্র ৭৮ বলে ১২ চার আর ১০ ছক্কার মারে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি সাজান ব্রেসওয়েল।

এর আগে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ২৮ রানে ডেভন কনওয়েকে (১০) হারায় নিউজিল্যান্ড। আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন ফেরেন ব্যক্তিগত ৪০ রান করে। কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফেরেন হেনরি নিকোলস (১৮) এবং ডেরিল মিচেলও (৯)। দলের হাল ধরতে পারেননি অধিনায়ক টম লাথাম (২৪) এবং গ্লেন ফিলিপসও (১১)। প্রথম সারির ব্যাটারদের এই ব্যর্থতার পরই শুরু হয় দুই মিচেলের ‘শো’। যদিও তা পেল না পূর্ণতা।  

ভারতের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ১০ ওভারে ৪৬ রান খরচায় তিনি নেন ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ যাদব এবং শারদুল ঠাকুর। একটি করে উইকেট গেছে মোহাম্মদ শামি এবং হার্দিক পান্ডিয়ার পকেটে।

news24bd.tv/সাব্বির