গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের যোগান নিয়ে শঙ্কা

সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের যোগান নিয়ে শঙ্কা

তেল-গ্যাস-কয়লা। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত এসব জ্বালানির প্রায় ৬০ শতাংশ এখন আমদানি করতে হয়। আসছে গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমে, বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে হবে ১৬ হাজার মেগাওয়াট। সবমিলিয়ে এই খাত সচল রাখতে, দরকার কাড়িকাড়ি ডলার।

ডলার সংকটে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে সরকার? পাওয়ার সেল বলছে, পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। একজন বিশেষজ্ঞের মতে, ডলার সংকট প্রয়োজনীয় জ্বালানি আমদানিকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সংকটময় অবস্থায় জ্বালানি খাত। শীতকালেও লোডশেডিংয়ের কবল ছেয়ে যায় গ্রাম থেকে নগর, সর্বত্র।

আসছে গরমে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কি হবে তা নিয়ে শঙ্কায় মানুষ!

বিদ্যুৎ বিভাগের হিসেবে, এখন দৈনিক গড়ে প্রায় দশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। যার ১০ শতাংশ আমদানি করা হয়। দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গ্যাস থেকে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৬৪ শতাংশ। কয়লা থেকে সাড়ে ১৪ শতাংশ, তেল নির্ভর প্রায় ১০ শতাংশ এবং সৌর ও জলবিদ্যুৎ এক শতাংশেরও কম।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলমের মতে, নিজেদের উৎপাদিত গ্যাস পর্যাপ্ত না বলে সরবরাহের ২০ শতাংশই আমদানি করা এলএনজি। এক বড়পুকুরিয়া ছাড়া অন্যান্য কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রাথমিক জ্বালানিও আমদানি করতে হয়। তিনি মনে করেন, আমদানি নির্ভরতা বাড়ার কারণে ডলার ও অর্থ সংকট অনিশ্চয়তায় ফেলেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে।

পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন জানান, যদিও অর্থের সংস্থান নিয়ে তেমন একটা সমস্যা দেখছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় গ্যাস বা কয়লা সংগ্রহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

গেল বছর গরমেও লোডশেডিং ছিল এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট। এবারের পরিস্থিতি তার থেকে ভাল থাকবে বলছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে, রেশনিং করে পরিস্থিতি সামালের চেষ্টা হলেও বিদ্যুৎ পাওয়ার শঙ্কা ও বাড়তি ব্যয়ের জন্য সরকারের দুর্নীতি ও ভুল নীতিকে দায়ী করছেন ড. শামসুল আলম।

সেচ, রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুম সামনে রেখে বিদ্যুৎ বিভাগের ধারণা, এবার সর্বোচ্চ চাহিদা হবে ১৬ হাজার মেগাওয়াট। তা মেটাতে গ্যাস থেকে সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট, ফার্নেল অয়েলে ৫ হাজার, পায়রা-রামপাল-বড়পুকুরিয়া-আদানিসহ কয়েকটি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার আশা সরকারের।

news24bd.tv/FA