আইপিএলের শুরুটা জয়ে রাঙালো গুজরাট

সংগৃহীত ছবি

আইপিএলের শুরুটা জয়ে রাঙালো গুজরাট

অনলাইন ডেস্ক

গতবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে গুজরাট টাইটান্স। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল চেন্নাই। শুভমন গিলের দুর্দান্ত ফিফটিতে সেটা চার বল বাকি থাকতেই টপকে গেছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল।

শুক্রবার রাতে নতুন আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স।

বিস্ফোরক ইনিংসে চেন্নাই সুপার কিংসকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তবে সম্মিলিত চেষ্টায় শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে দারুণ শুরু করল গুজরাট লায়ন্স।

অনেক পরিবর্তন এসেছে ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের নিয়মে। দুই দলই ব্যবহার করেছে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার।

দেখা গেছে ওয়াইডের রিভিউ নিতেও।  

ম্যাচের প্রথমভাগে সব আলো কেড়ে নেন রুতুরাজ। টস হেরে ব্যাট করতে নামা দলকে এই ওপেনারই এনে দেন ভালো একটা সংগ্রহ। অন্য পাশ থেকে সেভাবে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। তাই এক সময়ে অনেক বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়েও চেন্নাই থেমে যায় ১৭৮ রানে।

৫০ বলে ৯ ছক্কা ও চারটি চারে ৯২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন রুতুরাজ। তিনি ছাড়া বিশ ছাড়াতে পারেন কেবল মইন আলি (২৩)। ক্যারিয়ারে প্রথমবার আট নম্বরে নেমে একটি করে ছক্কা ও চারে ৭ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

গুজরাটের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রশিদ খান, মোহাম্মদ শামি ও আলজারি জোসেফ।

রান তাড়ায় মোটামুটি অবদান রাখেন গুজরাটের প্রায় সবাই। অধিনায়ক পান্ডিয়া ছাড়া দুই অঙ্কে যান ক্রিজে যাওয়া বাকি সব ব্যাটসম্যান।

আম্বাতি রায়ডুর জায়গায় তুষার দেশপান্ডেকে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলায় চেন্নাই। এই পেসারের উপর দিযেই যায় ঝড়ের সবচেয়ে বড় ঝাপটা। ৩ ওভার ২ বল করে ৫১ রান দিয়ে তিনি নেন ১ উইকেট। হজম করেন চারটি করে ছক্কা ও চার।

দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বলে ১০ রান দেওয়ার পর আর ছন্দ খুঁজে পাননি দেশপান্ডে। অন্যকেউও প্রভাব রাখতে পারেননি সেভাবে।

১৬ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ রানের ইনিংসে গুজরাটকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ঋদ্ধিমান সাহা। ফিল্ডিংয়ের সময় হাঁটুতে চোট পাওয়া কেন উইলিয়ামসন ব্যাটিংয়ে নামেননি, তার জায়গায় তিনে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামেন সাই সুদর্শন। তিন চারে তিনি করেন ২২ রান।

রানের গতিতে দম দেওয়ার কাজটা মূলত করেন শুবমান গিল। ৩৬ বলে তিন ছক্কা ও ছয় চারে ৬৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে গড়ে দেন জয়ের ভিত।

শেষ ৫ ওভারে গুজরাটের প্রয়োজন ছিল ৪১ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। দুটি আঁটসাঁট ওভারে কঠিন হতে বসেছিল সমীকরণ। তবে রশিদ (৩ বলে ১০) ও রাহুল তেওয়াতিয়া (১৪ বলে ১৫) দলকে অনায়াসেই নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।  

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক