বায়ার্নকে পাত্তাই দিল না ম্যানসিটি, বড় ব্যবধানে জয়

সংগৃহীত ছবি

বায়ার্নকে পাত্তাই দিল না ম্যানসিটি, বড় ব্যবধানে জয়

অনলাইন ডেস্ক

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াইয়ে বায়ার্ন মিউনিখকে উড়িয়ে বড় জয় তুলে নিল পেপ গুয়ার্দিওলার দল ম্যানচেস্টার সিটি। মঙ্গলবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতেছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারীরা। রদ্রির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বের্নার্দো সিলভা। পরে আর্লিং হলান্ডের লক্ষ্যভেদে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা জোরাল হয় সিটির।

বল দখলে কিছুটা এগিয়ে থাকা জার্মান দলটি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জোর চেষ্টা চালায় ঘুরে দাঁড়াতে। বেশ কিছু ভালো সুযোগও তৈরি করে তারা; কিন্তু পারেনি কাজে লাগাতে। দ্বিতীয় গোল খাওয়ার পর আর সেভাবে পেরে ওঠেনি তারা।

২৭তম মিনিটে রদ্রির দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় সিটি।

বের্নার্দো সিলভার পাস পেয়ে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের উঁচু জোরাল শটে বল জালে জড়ান স্প্যানিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটা তার প্রথম গোল।

ছয় মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। সতীর্থের গায়ে লেগে আসা বল কোনোমতে পাঞ্চ করেন সমের, কিন্তু বল চলে যায় বক্সে ইলকাই গিনদোয়ানের পায়ে। জোরাল শট নেন সিটির এই মিডফিল্ডার, মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় কোনোমতে পা দিয়ে আটকান সুইস গোলরক্ষক।


বিরতির পর প্রথম মিনিটেই আক্রমণ শাণায় বায়ার্ন। লেরয় সানের জোরাল শট ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন এদেরসন। তিন মিনিট পর আরেকটি দারুণ একটি সুযোগ পায় বায়ার্ন, এবার বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন।

পরের মিনিটে নিজেদের ভুলে ফের গোল খেতে বসেছিল বায়ার্ন। গোলমুখে সতীর্থের দুর্বল ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি সমের, বল চলে যায় বক্সেই হলান্ডের পায়ে। তবে তার শট ঠেকিয়ে দেন জার্মান মিডফিল্ডার জসুয়া কিমিখ।

৫৭তম মিনিটে সমেরের দৃঢ়তায় ফের দ্বিতীয় গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় বায়ার্ন। ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে রুবেন দিয়াসের শটে এক হাত দিয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান তিনি।

রক্ষণের ভুলেই ৭০তম মিনিটে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বায়ার্ন। বক্সের বাইরে জ্যাক গ্রিলিশের চ্যালেঞ্জের মুখে বল হারান ডিফেন্ডার দায়দ উপেমেকানো। বল ধরে ভেতরে ঢুকে ডান দিকে ক্রস বাড়ান হলান্ড আর ফাঁকায় পেয়ে নিখুঁত হেডে সমেরকে পরাস্ত করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার সিলভা।

অবিশ্বাস্য ফর্মে ছুটে চলা হলান্ড স্কোরলাইনে নাম লেখান ৭৬তম মিনিটে। ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বক্সে পেয়ে জন স্টোনস হেডে খুঁজে নেন হলান্ডকে। ছয় গজ বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে অনায়াসে জালে পাঠান বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে গত গ্রীষ্মের দলবদলে সিটিতে যোগ দেওয়া এই তরুণ।

সিটির জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নরওয়ের এই ফরোয়ার্ডের মোট গোল হলো ৪৫টি; প্রিমিয়ার লিগ যুগে প্রতিযোগিতাটির কোনো খেলোয়াড়ের যা সর্বোচ্চ।

বাকি সময়ে আরো দুটি ভালো সুযোগ তৈরি করে সিটি। তবে হুলিয়ান আলভারেসের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার কয়েক মিনিট পর রদ্রির হেড ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি সমের।

বায়ার্নের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় আগামী বুধবার ফিরতি লেগে ফের মুখোমুখি হবে দল দুটি। আগ্রাসী সিটির বিপক্ষে তিন গোলের ব্যবধান ঘুচিয়ে পরের ধাপে যেতে অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখাতে হবে ৬ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের।

news24bd.tv/আইএএম