ক্যাম্পে নয়, বসতভিটায় ফিরতে চান রোহিঙ্গারা

সংগৃহীত ছবি

ক্যাম্পে নয়, বসতভিটায় ফিরতে চান রোহিঙ্গারা

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারের কোনো ক্যাম্পে নয় নিজেদের বসতভিটায় ফিরতে চান রোহিঙ্গারা। প্রত্যাবাসনের পরিবেশ দেখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ফিরে তারা এ কথা জানিয়েছেন। শুক্রবার (৫ মে) সকালে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমারে যান। বিকেলে দেশে ফিরে তারা এ কথা বলেন।

   

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি না কি মিয়ানমারের কালক্ষেপণ- তা শিগগিরই স্পষ্ট হবে। তবে আশাবাদী বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন।  

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যচার নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত হয়ে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এরপর থেকে নানাভাবে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

তবে বারবার মিয়ানমারের অনাগ্রহের কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি।  

সবশেষ গত ১৫ মার্চ জান্তা সরকারের ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের পাঠানো রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই করতে কক্সবাজারে আসেন। রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ৭ দিন পর ফিরে যায় তারা।

শুক্রবার সকালে এর ধারাবাহিতায় প্রত্যাবাসনের পর রোহিঙ্গারা কোথায় থাকবে এবং বর্তমানে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি কী- তা দেখতে ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমারে যায়। বিকেলে ফিরে আসে ওই প্রতিনিধিদল। রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, নিজেদের বসতভিটা ও নাগরিকত্ব সনদ দিলেই তারা ফিরবেন।

জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ক্যাম্পে রাখার ব্যবস্থা করলেও আশাবাদী প্রতিনিধিদলের প্রধান।
 
নিরাপত্তা বিশ্লষক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম জানান, রোহিঙ্গা প্রতাবাসনের কোনো বিকল্প নেই। তবে মিয়ানমানমার আসলেই আন্তরিক কি না, তা নির্ভর করছে প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু হওয়ার ওপর।

আরআরআরসি জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢল শুরু হওয়ার পর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনের জন্য ৮ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকায় দিয়েছিল। সেই তালিকা যাচাই-বাছাই করে মাত্র ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তা বাংলাদেশের কাছে ফেরত পাঠিয়েছিল মিয়ানমার।

news24bd.tv/আইএএম