গ্রামে এখন আর কেউ লুঙ্গি পরে না : তথ্যমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

গ্রামে এখন আর কেউ লুঙ্গি পরে না : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রামে এখন আর কেউ লুঙ্গি পরে না। তারা থ্রি কোয়ার্টার পরে। তা আবার জিন্সের প্যান্টের মধ্যে ছেঁড়া, তালি দেওয়া।

শনিবার (২০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

গ্রাম আর শহরের তুলনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন গ্রামে গেলে দেখি, কেউ লুঙ্গি পরে না। থ্রি কোয়ার্টার, আবার জিন্সের প্যান্টের মধ্যে ছেঁড়া, তালি দেওয়া। জিজ্ঞেস করলাম, কিরে তোরা তালি দিছোস ক্যান।

তারা বলে, ভাই এটা তালি দেওয়া না। এটা পুরনো না, ছেঁড়াও না। এটার দাম কিন্তু, ভালোটার চেয়েও বেশি। এটা হচ্ছে, গ্রামের চিত্র। গ্রামের ছেলে ও শহরের ছেলেদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'গ্রামের মেয়ে এবং শহরের মেয়ের মধ্যেও পার্থক্য নেই। আমার এলাকায় কয়েকদিন আগে যুবমহিলা লীগের সম্মেলন হয়েছে। সেখানে আমি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হই। যুক্ত হওয়ার পর যখন দর্শক দেখাচ্ছে সারিতে, তখন আমার মনে হলো, আমি ভুল করে অন্য কোথাও যুক্ত হলাম নাকি! ঢাকা শহরের কোনো সমাবেশে যুক্ত হয়ে গেলাম নাকি। আমি বলেছি, আমাকে ঠিক জায়গায় কানেক্ট করেছ তো? বলে, হ্যাঁ ভাই, ঠিক জায়গায় কানেক্ট করেছি। মেয়েদের যে চেহারা, সাজগোজ দেখলাম—তা তোমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চেয়ে কম না। ’

দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে দেশে গণতন্ত্র ফিরেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যাবর্তন হয়েছিল। ’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংক ছুটির দিনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনুষ্ঠান ডেকেছে। কারণ, শনিবার ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কোনো সময় ছিল না। শুধু প্রধানমন্ত্রীর জন্য তারা অনুষ্ঠান করেছে, নতুন করে বাংলাদেশে অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছে। আর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, আপনি আমার আইডল। আমার স্ত্রী ও সন্তানরা আপনাকে আইডল মানেন। ’

এসময় বিএনপি নেতাদের চিকিৎসা করানোর কথা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল সাহেবরা যদি এগুলো শুনতে না পারেন, তাহলে কানের ডাক্তার দেখান। যদি দেখতে না পারেন, তাহলে চোখের ডাক্তার দেখান। আপনাদের যে চিকিৎসক সংগঠন ড্যাব আছে তাদের থেকে চিকিৎসা নেন। তারা না পারলে আমাদের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কাছ থেকে চিকিৎসা নেন। ’

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক