স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ নাগরিক প্রয়োজন: মোস্তাফা জব্বার

সংগৃহীত ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ নাগরিক প্রয়োজন: মোস্তাফা জব্বার

অনলাইন ডেস্ক

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে দক্ষ নাগরিক প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। তিনি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম স্তম্ভ হলো স্মার্ট নাগরিক। এ স্মার্টনেস বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে।

একসময় কাগজের বাইরে তেমন কোনো কিছু দেখা যেতো না। এখন ডিজিটাল মাধ্যমগুলোতে মানুষ প্রচলিত গণমাধ্যমের চাইতে বেশি তথ্য পায়। এজন্য আমাদেরকে প্রযুক্তির ব্যবহার জানতে হবে।

আজ রোববার (২১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্টস কাউন্সিল (বিজেএসসি) কর্তৃক আয়োজিত থার্ড ন্যাশনাল জার্নালিজম স্টুডেন্টস ফেস্টে অনলাইনে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে অনুষ্ঠিত উৎসবটি সকাল ১১টায় উদ্বোধন ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং অতিথি আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ভারতের বেনেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অয়নজিৎ সেন।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. হেদায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: মফিজুর রহমান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাকিব আহমেদ।

মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে যে, তথ্য ব্যবহার করা যায় তা আমরা অনেকেই জানি না। এজন্য দরকার কমিউনিকেশন স্কিল। শুধু ইংরেজি জানলে হবে না। শুদ্ধ, সুন্দর, গুছিয়ে বাংলা ভাষার ব্যবহারের মাধ্যমে সফল হওয়া যায়। ’

মন্ত্রী তরুণদেরকে নিয়ে আশা প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশের শতকরা ৯৮ শতাংশ এলাকা ৪জি’র আওতায়। প্রথম স্যাটেলাইট যুগ শেষ করে আমরা এখন ২য় স্যাটেলাইটের যুগে আছি। এখন ১২ কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ২০০৮ সালের পর থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমার প্রত্যাশা আজকের যুবকরা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে। ’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্টের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। এ সবকিছুর সাথে সাংবাদিকতা জড়িত। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। একজন সাংবাদিককে স্মার্ট হতে হবে। সাংবাদিকতার উপরে পড়াশোনা ছাড়াও প্রযুক্তির জ্ঞান রাখতে হবে। সাংবাদিকতার স্বাধীনতার সাথে সাথে সাংবাদিকদেরকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ’

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি এসেছে, আরও আসবে। কিন্তু দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা না হলে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার হবে না। উচ্ছৃঙ্খল সাংবাদিকতার কোন স্থান নাই। তোমাদেরকে সত্য বলার স্মার্টনেস ধরে রাখতে হবে। সত্য প্রকাশের সাহস রাখতে হবে। ’

আলোচকের বক্তব্যে জাবির সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাকিব আহমেদ বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে গণমাধ্যম। স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণার উপাদানগুলো ছাড়াও সুশাসন, স্বাধীনতা, নাগরিকের চাহিদাগুলো পূরণ করা দরকার। গুজব রোধে সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে। এজন্য গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। ’

‘একতাই বল, যোগাযোগই সম্বল’ স্লোগানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াসে ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিজেএসসি। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৭টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছে সংগঠনটি।

news24bd.tv/SHS