সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে তরুণীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটক হয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মজনু মিয়া।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার খাসকাউলিয়া ইউপির কুড়কী আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ইউএনও আনসার সদস্যদের পাঠিয়ে পিআইওকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা।
স্থানীয়রা জানান, খাসকাউলিয়া ইউপির কুড়কী আশ্রয়ণ প্রকল্পে দরিদ্র আরব আলীর পরিবারকে একটি ঘর পেতে সহায়তা করেছেন পিআইও মজনু মিয়া। এরই সুবাদে ওই পরিবারের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। প্রায়ই গভীর রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীর সাথে আড্ডায় মেতে উঠতেন তিনি। এ নিয়ে এলাকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ও এ নিয়ে সমালোচনা চলতে থাকে।
মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় জনতা পিআইও মজনু মিয়াকে ওই তরুণীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে বেঁধে রেখে মারধর করেন। এরপর উপজেলা প্রশাসনে সংবাদ দেওয়া হলে আনসার সদস্য পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করেন ইউএনও।
খাসকাউলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম গণি মোল্লা জানান, পিআইও মজনু মিয়া প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এর আগেও বেশ কয়েকজন নারীর সম্ভ্রম হানী করেছে। এবার আরব আলীর বাড়িতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। ইউএনও তাকে ছাড়িয়ে এনেছে। দুইদিন পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা অভিযুক্ত পিআইও’র শাস্তি চাই।
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল আলীম জানান, অনৈতিক কাজের সময় পিআইও মজনু মিয়া আটক ও মারধরের বিষয়টি উপজেলায় ‘টক অব দ্যা টাউনে’ পরিণত হয়েছে। তবে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কৌশলী মজনু মিয়া বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। অভিযুক্ত পিআইওকে অপসারণ ও যথাযথ শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কথা বলে তথ্য নিতে হলে লিখিতভাবে আবেদন করুন। অভিযুক্ত চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মজনু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
