ব্যাগেজ রুলে স্বর্ণ একশো থেকে নামিয়ে পঞ্চাশ গ্রাম করার প্রস্তাব

ব্যাগেজ রুলে স্বর্ণ একশো থেকে নামিয়ে পঞ্চাশ গ্রাম করার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে বৈধভাবে গহনা আনার পরিমাণ ১০০ গ্রাম থেকে ৫০ গ্রামে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।

সোমবার (৫ জুন) সকালে রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স আয়োজিত এক বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

এসময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ১০০ গ্রামের বৈধতার সুযোগে স্বর্ণ চোরাচালানকারীরা ছোট ছোট চালানে অবৈধ স্বর্ণ দেশে পাচার করছে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে স্বর্ণ কেনাকাটায় থাকা ৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৩ শতাংশ করার দাবিও জানিয়েছে বাজুস।

ব্যবসায়ীদের দাবি, এতে করে স্বর্ণের বেচাকেনা বাড়বে ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণও বাড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন এর চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বাজেটে স্বর্ণ ব্যবসার বিকাশে ১২ দফা নীতি সহায়তা চাওয়া হলেও তার প্রায় কিছুই বিবেচনায় নেয়া হয়নি। এজন্য ব্যাগেজ রুল সংশোধনসহ ভ্যাট ও ট্যাক্স কমানোর ১১ দফা নীতি সহায়তার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। তাদের দাবি, প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদের পাশ হওয়ার আগেই বাজুসের প্রস্তাবনা আমলে নেয়া হোক।

সংগঠনটির নেতাদের দাবি, নীতির ফাঁকফোকরে শুধু ব্যবসায়ীরাই নন, সাধারণ ক্রেতারাও অহরহ প্রতারিত হচ্ছেন। হীরা কেনা বেচায় নীতিমালা ও নজরদারির অভাব থাকায় অনলাইনে সস্তায় হীরার গহনা কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীদের দাবি, আসল হীরার নাকফুল কোনোভাবেই ন্যূনতম তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব নয়। অনলাইনে যারা এর চেয়ে কম দামে হীরার নাকফুল বিক্রি করে তার বেশিভাগই প্রতারণা।

এই রকম আরও টপিক