চুরি হওয়া সন্তানকে ফিরে পেয়ে ভাষাহীন মা

চুরি হওয়া সন্তানকে ফিরে পেয়ে ভাষাহীন মা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে নার্সের ছদ্মবেশে চুরি করে নিয়ে যাওয়া নবজাতককে কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে চুরির সঙ্গে জড়িত নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চুরির সাথে জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তার ও তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলার পোড়াদহ থানার খাজানগর গ্রাম থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।

নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, নলডাঙ্গা উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী হাসনা হেনা-(২২) নাটোর সদর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ভর্তি হন।

ওই দিন সকাল ১০টার দিকে একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন হাসনা হেনা। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে একজন মহিলা নার্সের এপ্রোন ও মুখে মাস্ক পরে ওই শিশুটির ডাক্তারের কাছে চেকআপের কথা বলে ওই শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পরে ফেরত না এলে শিশুটির স্বজনরা খোজ করে আর পাননি।

সাইফুর রহমান বলেন, শুক্রবার দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে নার্সের ছদ্মবেশে ২দিনের এক শিশুকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম গঠন করা হয়।

পরে সিসিটিভি
ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে শুক্রবার রাতেই ছদ্মবেশী নার্স কুষ্টিয়া জেলার খাজানগর গ্রামের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. কাজলীকে নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকার ভাড়া করা বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।

পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ কুষ্টিয়া জেলার পোড়াদহ থানার খাজানগর গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে।

খাজানগর গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পতি জানান, কাজলী গর্ভবতী এবং তিনি সন্তান পালনে অক্ষম এবং নিজের সন্তানটিকে তাকে দিতে চান। এজন্য সিজার খরচ বাদ ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি গরিব মানুষ হওয়ায় ৮ হাজার দিয়ে ওই সন্তানকে গ্রহণ করেন তারা। এর বেশি কিছু তারা জানেন না।

পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান আরও বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবারই নাটোর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সন্তান হারানো মা হাসনা হেনা বলেন, আমার সন্তানকে ফিরে পেয়ে আমি কি পেলাম, কি সুখ অনুভব করছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমি নাটোরের পুলিশ ও গণমাধ্যমে প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

চুরি যাওয়া সন্তানের বাবা মাহফুজুর রহমান বলেন, নাটোর বাসীঢর দোয়া ও পুলিশের আন্তরিকতায় আমরা আমাদের সন্তানকে ফিরে পেয়েছি। আমি গণমাধ্যমের কাছেও চিরকৃতজ্ঞ।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক