উট ১০ লাখ, গরু ৫ লাখ, ছাগল দেড় লাখ!

সংগৃহীত ছবি

অর্থনৈতিক মন্দায় পাকিস্তান

উট ১০ লাখ, গরু ৫ লাখ, ছাগল দেড় লাখ!

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানে ব্যাপক অর্থনৈতিক মন্দা ও রুপির রেকর্ড দরপতনে কোরবানির পশুর দাম আকাশচুম্বী। ইসলামাবাদের হাটে বিক্রেতারা গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন পাঁচ লাখ রুপি। খাসি বা ছাগলের দাম দেড় লাখ রুপি। আর উটের দাম হাঁকানো হচ্ছে ১০ লাখ রুপি।

এতে করে অনেক মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা কোরবানির পশু ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন।  

অনেক মুসলিমপ্রধান দেশের মতো আগামীকাল (২৯ জুন) দেশটিতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে। যেখানে ঈদের নামাযের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে পশু কোরবানি। এ অবস্থায় অনেকের মধ্যে দেখা গেছে চরম হতাশা।

বিক্রি নেই বললেই চলে হাটগুলোতে। খবর আল জাজিরা।  
 
ইসলামাবাদের হাটে প্রায় ২৫০টি উট আনা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে কয়েক হাজার গরু, ছাগল ও ভেড়া। সেখানে গরু ও ষাঁড়ের দাম ধরা হচ্ছে পাঁচ লাখ রুপি। খাসি ও ছাগলের দাম হাঁকা হচ্ছে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজার রুপি। আর উটের দাম চাওয়া হচ্ছে ৭ থেকে ১০ লাখ রুপি।  

মোহাম্মদ জাকারিয়া নামের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এ বছর ১৮টি উট তিনি হাটে তুলেছেন। এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে পেরেছেন মাত্র একটি উট।  

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে পাওয়া সাড়ে ৬ হাজার ডলারের ঋণ সহায়তার বেল আউটের সময় শেষ হচ্ছে ঈদের দ্বিতীয় দিন ৩০ জুন। এর পর দেশটির অর্থনীতি কোন পথে যাবে তা নিয়েও দেখা গেছে চরম উৎকণ্ঠা।  

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পর্যায়ে পৌঁছেছে।

দেশটির প্রশাসন এখন অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে গত বছরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের দূতাবাসের সম্পত্তি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।

একদিকে যখন অর্থনীতির চাকা সচল করতে উঠেপড়ে লেগেছে পাকিস্তান সরকার। ঠিক তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিয়ে উত্তপ্ত দেশটির রাজনীতির মাঠ।

গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের পরাজয়ের পর থেকেই চলছে উত্তেজনা। এছাড়া নিয়মিত বিরতিতে ঘটছে তালেবানের সন্ত্রাসী হামলাও। সব মিলিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও।

পাকিস্তানে বিভিন্ন পর্যায়ের চলমান সংকট কাটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বলে মত বিশ্লেষকদের। একইসঙ্গে বৈদেশিক ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মেনে চলার আহ্বান অর্থনীতিবিদদের।
News24bd.tv/aa