চালুর ৩ দিনের মাথায় বন্ধ সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে জ্বালানি তেল খালাস

সংগৃহীত ছবি

চালুর ৩ দিনের মাথায় বন্ধ সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে জ্বালানি তেল খালাস

অনলাইন ডেস্ক

জ্বালানি তেল ব্যবস্থাপনা সাশ্রয়ী ও টেকসই করতে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প চালু হয়েছে সম্প্রতি। চালুর মাত্র ৩ দিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে তেল খালাস। সৌদি আরব থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে আসা ট্যাংকার থেকে তেল খালাস শুরু হওয়ার ৩ দিনের মাথায় ইস্টার্ন রিফাইনারি প্ল্যান্টে তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। গত বুধবার বিকেল থেকে তেল খালাস বন্ধ আছে বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, তেল খালাস করতে গিয়ে পাইপ ফেটে যায়। এতে কিছু জ্বালানি তেল সাগরে ভেসে যায়। গভীর সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে জ্বালানি তেল সরবরাহের শুরুতেই এমন বিপত্তি দেখা দিল।

সমুদ্রের তলদেশে স্থাপন করা প্রায় ১১০ কিলোমিটার পাইপলাইন দিয়ে তেল খালাসের জন্য জাহাজটি গত ২৪ জুন থেকে অপেক্ষা করছিল।

ইস্টার্ন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান বলেন, ঠিক কী কারণে তেল খালাস বন্ধ আছে তা এখনও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান জানায়নি। পাইপলাইনের ত্রুটি নাকি, পাইপলাইন ফেটে গেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারব না।

তিনি আরও বলেন, পাইপলাইন ঠিক করতে কত সময় লাগবে তা নিশ্চিত নয়। এ কারণে দুয়েকদিনের মধ্যে আগের মতো ছোট ছোট লাইটার জাহাজে করে তেল খালাস শুরু হবে।

জানা গেছে, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের অধীনে দুটি সমান্তরাল পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। যার একটি অপরিশোধিত তেলের জন্য এবং অন্যটি ডিজেলের জন্য। গভীর সমুদ্রে একটি ভাসমান মুরিং পয়েন্ট এবং মহেশখালীতে একটি স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল স্থাপন করা রয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য অনুযায়ী, চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিপিসি। ২০১৫ সালে অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।

news24bd.tv/Arh