বড় হারে সিনিয়রদের কাঠগড়ায় তুললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

সংগৃহীত ছবি

বড় হারে সিনিয়রদের কাঠগড়ায় তুললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

অনলাইন ডেস্ক

মিরপুরে ভারত নারী দলের কাছে সিরিজের প্রথম টি২০ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল। এমন হারের পর দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাঠগড়ায় তুলেছেন নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

ভারতের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান তোলে বাংলাদেশ। অথচ অভিষিক্ত সাথি রানী ও শামিমা সুলতানার ব্যাটে শুরুটা ভালো ছিল বাংলাদেশের।

২৭ রানের ওপেনিং জুটি। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে আসে ৩৪ রান।

কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে তো বটেই, স্লগ ওভারেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি সোবহানা মোস্তারি ও রিতু মনিরা। ৩৩ বল খেলে ২৩ রান করে আউট হয়ে যান সোবহানা।

রিতু আউট হন ১৩ বলে ১১ রান করে।

মাঝের ওভারগুলোতে আরও কিছুটা গতিশীল ক্রিকেট খেলতে পারলে ভারতকে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারতেন বলে মনে করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘মিডল অর্ডার আমার কাছে মনে হয় যে, ওইখানে বেশি বল ডট হয়ে গেছে। উইকেট কিন্তু একটু লো স্লো ছিল। টার্নও যেহেতু ছিল ১২০-২৫ ও যদি আমরা করতে পারতাম অ্যাটলিস্ট ১৪০ যেটা আমরা করতে পারতাম। তাহলে হয়তো ওরা আমাদেরকে আরও ডিফিকাল্ট ওয়েতে খেলত। ’

ভারত সিরিজে এবার ফারজানা হক পিংকি, রুমানা আহমেদ ও জাহানারা আহমেদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। তাই এদিন ভারতের বিপক্ষে সুযোগ পান কিছু তরুণ ক্রিকেটার। অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল দলে। কিন্তু দেখা তরুণদের তুলনায় নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি অভিজ্ঞরাই।

জ্যোতি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে, ইন্টেন্টের একটা অভাব ছিল। এক্সপেরিয়েন্স বলতে কী, যখন আপনি ন্যাশন্যাল টিমের জার্সি পড়ে নামবেন, তখন আপনি অবশ্যই এক্সপেরিয়েন্সড। তাই আপনাকে নামানো হচ্ছে। কারণ, আমরা কন্টিনিউয়াসলি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছি। হয়তো বা ইন্টারন্যাশন্যাল ম্যাচ খেলছি না। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছি। আমাদের ওই সিচুয়েশনে কী করতে হবে সেটা বারবার কোচিং স্টাফরা প্র্যাকটিস করাচ্ছেন। ’ 

তিনি আরও যোগ করেন, ‘কেন পারছিনা? ভেতর থেকে একটা বিষয় থাকেই। অনেক সময় ইন্ডিভিজুয়ালি কিছু প্লেয়ারের প্রেশার কাজ করে। যখন দুই একটা বল ডট হয়ে যায়। সেটাকে ওভার কাম করতে আরও দুইটা বল ডট হয়ে যায়। সো এইভাবে হয়ে যাচ্ছে। যখন স্বর্ণা এই কাজটা করছে বা অনূর্ধ্ব-১৯ খেলে আসছে, তাদের জন্য সেটা ঠিক আছে। তাদের জন্য ওকে। হয়তোবা উপরের লেভেলের ক্রিকেটটা একটু খেলছে। বাট যারা রেগুলার বাংলাদেশের হয়ে খেলছে তাদের কাছ থেকে এমন ব্যাটিং একটু হতাশ হবেই। ’

সিনিয়রদের ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিয়ে আরও বলেন, ‘স্কিল তো আছে। স্কিলফুল তারা। অবশ্যই পটেনশিয়াল আছে। তাই তো ন্যাশন্যাল টিমে তারা খেলছে। অনেকদিন ধরে। প্রব্লেমটা হচ্ছে, আমার কাছে মনে হয়, এই জায়গা থেকে ইন্ডিভিজুয়ালি প্লেয়ারদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। যখন একটা প্লেয়ার ভালো একটা স্টার্ট পায়, সে কেন ২৫ এর পরে আউট হবে। তাকে ইনিংসটা অবশ্যই ক্যারি করতে হবে। শট সিলেকশনের প্রতি আরেকটু চিন্তা ভাবনা করতে হবে। সিচুয়েশনটা কী ডিমান্ড করতেছে। ’

news24bd.tv/SHS