‘নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিবন্ধন না পাওয়া ১০ দল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ১০ দলের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা শুধু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে নিবন্ধন আবেদন করেছিলাম। আমরা জানি, বাংলাদেশের এই নির্বাচন কমিশনের বিন্দুমাত্র নিরপেক্ষতা নেই।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, অবসরপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করার জন্য এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পুরস্কারের লোভে তাঁরা তস্য দালালের মতো ফ্যাসিস্টদের স্বার্থে যেকোনো বা সব বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন। আপন হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য মতলববাজ এমন গণবিরোধী সরকারি কর্মকর্তারা দেশে জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকার টিকিয়ে রাখতে বেহায়া ও নির্লজ্জ আচরণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক নুর, মজিবুর রহমান মঞ্জু ও মুস্তাফিজুর রহমান ইরান নিজ নিজ দলের নিবন্ধন না পাওয়ায় ইসি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির কথা জানান ৷ তাঁরা বলেন, সরকারি দলের সুপারিশ মোতাবেক নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়নি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন না পাওয়া দলগুলো জুলাই মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবে।
গণ অধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘সরকার ইসলাম বিদ্বেষী নানা কর্মকাণ্ড করছে, আলেম-ওলামাদের ওপর অত্যাচার করেছে। তারা এখন ভোটের আগে ধর্মভিত্তিক কিছু দলকে কাছে টেনে নিতে চায়। আগামী ২৬ জুলাই নিবন্ধন পাওয়া দলগুলোর বিষয়ে গেজেট জারি করবে। তার আগে আমাদের নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ঘেরাও করতে হবে। ’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী, গণ অধিকার পরিষদের অপর অংশের নেতা ফারুক হোসেন, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি) সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল, ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি আশিক বিল্লাহ।
News24bd.tv/AA