ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে স্পেনের বিশ্বজয়

সংগৃহীত ছবি

ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে স্পেনের বিশ্বজয়

অনলাইন ডেস্ক

গত বছর নারী ইউরো থেকে স্পেনের বিদায় ঘটেছিল ইংল্যান্ডের কাছে হেরেই। সেই ইংল্যান্ডকে এবার হারিয়ে ইতিহাস গড়লো স্পেন। আজ ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপ জিতলো লা রোহারা। জার্মানির পর স্পেনই প্রথম দেশ, যাদের নারী-পুরুষ দুই দলই জিতলো ফুটবল বিশ্বকাপ।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপ জেতে স্পেনের পুরুষ দল।  জোহানেসবার্গে নেদারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্ব জয়ের উল্লাসে মাতেন ক্যাসিয়াস-পুয়োল-জাভিরা। ফাইনালে গোল করে সমস্ত আলো নিজের দিকে কেড়ে নিয়েছিলেন বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।

স্পেনের নারী দলও বিশ্বকাপ জিতলো ওই ১-০ গোলের ব্যবধানে।

এবার দলের জয়ের নায়ক রিয়াল মাদ্রিদের ফুলব্যাক সেরিনা ওয়েগমান। এই বিশ্বকাপ জয়ে আরও একদিক থেকে অনন্য করে তুলেছে স্পেনকে। অনূর্ধ্ব ১৭, ২০ এবং মূল দল - তিন জায়গাতেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারা।


নিউ সাউথ ওয়েলস ফাইনালে ম্যাচের শুরু থেকেই ইংলিশদের চাপে রেখেছিল স্পেন। বলের দখল নেওয়া থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই আধিপত্য ছিল স্প্যানিশদের। ম্যাচের প্রথম বড় সুযোগটি অবশ্য ইংল্যান্ডই পেয়েছিল। তবে ম্যানসিটি স্ট্রাইকার লরেন হ্যাম্পের জোরালো শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। এমন সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পরেই যেন ভেঙে পড়ে ইংলিশদের মনোবল।  

বিপরীতে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে স্পেন। ম্যাচের প্রথম বিশ মিনিট পর্যন্ত ৮০ শতাংশ বল রেখেছিল নিজেদের পায়েই। আক্রমণের সেই ধারাতেই ২৯ মিনিটে লিড পায় স্পেন। বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে আসেন বার্সেলোনা তারকা মারিওনা কালদেন্তি। ডি-বক্সের ঠিক আগেই পাস দিয়েছেন লেফটব্যাক থেকে ওভার-ল্যাপ করে আসা ওলগাকে। বাম পায়ের কোণাকুনি শটে ইংলিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ফুটবলার।

গোল হজমের পরেই যেন আরও বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিতে শুরু করে স্পেন। বল পজিশন ধরে রেখে আরও একাধিকবার আক্রমণে উঠেছে স্পেন। যদিও শেষ পর্যন্ত ফিনিশিং দুর্বলতায় আর গোল পাওয়া হয়নি তাদের।  

দ্বিতীয়ার্ধে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। লরেন জেমস আর ক্লোয়ি কেলিকে মাঠে নামান কোচ ওয়েগম্যান। যদিও অতি আক্রমণাত্মক মানসিকতার সুফল তারা পায়নি। খেলার ধারার বিপরীতে দুইবার বড় সুযোগ পেয়েছিল স্পেন। দুইবারই তাদের গোলবঞ্চিত করেছেন ইংলিশ গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পস।  

প্রথমে কালদেন্তির একক প্রচেষ্টায় নেওয়া দারুণ এক শট ফিরিয়ে দিয়েছেন। পরে জেনিফার হারমোসোর পেনাল্টিও ঠেকিয়েছেন। ইংল্যান্ডকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখার যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন ইয়ার্পস। তবে, দলের ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল আর পাওয়া হয়নি।  

যোগ করা ১৩ মিনিটেও সুবিধা করতে পারেনি ইংলিশ মেয়েরা। উলটো হারমোসো, কালদেন্তিদের আক্রমণ ঠেকাতেই হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক ওলগার গোলেই প্রথমবারের মত নারীদের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেল স্পেন।

news24bd.tv/SHS