প্রেমিকাকে খুন করে লাশ দেখতে মানুষের ভিড়ে প্রেমিকও হাজির!

শীলা খানম হত্যা মামলায় গ্রেফতার শীলার প্রেমিক রাবিজ ও তার সহযোগী

প্রেমিকাকে খুন করে লাশ দেখতে মানুষের ভিড়ে প্রেমিকও হাজির!

অনলাইন ডেস্ক

ঝোপের মাঝে অজ্ঞাত পরিচয় তরুণীর মরদেহ। আর তা দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়। এরমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য তো আছেই। কিন্তু সেই ভিড়ে খুনিরাও ছিল।

শুধু তাই নয়, ঘটনার শিকার ওই তরুণীর মুঠোফোন তখনো সচল এবং সেই মুঠোফোন ঘাতকের হাতে! হাজারো মানুষের ভিড়ে তাদের ধরা না গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত পিবিআইয়ের জালে ধরা পড়তেই হলো ঘাতকদের।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরে পিবিআইয়ের কার্যালয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল।

ঘটনার শিকার সেই তরুণী শীলা খানম গোপালগঞ্জ সদরের করপাড়া এলাকার মুনসুর খানের মেয়ে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: শীলা খানমের প্রেমিক রাজিব মজুমদারের বাড়ি মৈশাদীর আজিজ মজুমদারের ছেলে এবং তার সহযোগী কামরুল পাশের হাপানিয়া গ্রামের মৃত স্বপন খানের ছেলে। এ ঘটনায় পলাতক অপর আসামি একই এলাকার রফিকুল।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল জানান, প্রেমিক রাজিবকে বিয়ে প্রস্তাব দিয়ে কৌশলে চাঁদপুরে নিয়ে এসে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে তার প্রেমিকা শীলা খানমকে। তারা দুজন গোপালগঞ্জ শহরে আলাদা দুটি দোকানের কর্মচারী ছিল। সেখানেই পরিচয় হয় উভয়ের। তবে এই হত্যাকাণ্ডে রাজিবের সঙ্গে আরও দুজন জড়িত ছিল। এদের মধ্যে একজন ধরা পড়লেও পলাতক আরেকজনকে খুঁজছে পুলিশ।

এদিকে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সদর থানা পুলিশ যখন তরুণীর মরদেহ উদ্ধারে যায়। তখন সেখানে এই তরুণীর খুনিরাও অবস্থান করছিল এবং তাদের হাতে তরুণীর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি সচলই ছিল। একপর্যায়ে তরুণীর সঙ্গে থাকা ছোট ব্যাগে তার ভোটার আইডি কার্ডের সন্ধান মেলে। আর তার সূত্র ধরেই নাম পরিচয় এবং সব তথ্য পুলিশের কাছে চলে আসে। যা পরবর্তীতে জড়িতদের গ্রেফতার করতে কাজে লাগে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সদরের উত্তর মৈশাদী এলাকার একটি ঝোপ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শীলা খানমের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এরপর পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে। পরে একদিনের মাথায় চাঁদপুরের বাবুরহাট এলাকা থেকে শীলা খানমের প্রেমিক রাজিব মজুমদার ও তার সহযোগী কামরুলকে গ্রেফতার করে পিবিআই। এরইমধ্যে তারা শীলা খানমকে হত্যার দায় স্বীকার করে।

অন্যদিকে, গ্রেফতার এই দুই আসামিকে শনিবার বিকেলে চাঁদপুরের আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
news24bd.tv/AA