বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এলপিজির ব্যবহার বৃদ্ধির পরামর্শ

সংগৃহীত ছবি

বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এলপিজির ব্যবহার বৃদ্ধির পরামর্শ

অনলাইন ডেস্ক

শিল্পে জ্বালানি সরবরাহ ঠিক রাখতে হোটেল রেস্তোরাঁসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিবর্তে এলপিজির ব্যবহার বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে এলপিজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর টিসিবি ভবনে বিইআরসি আয়োজিত এক সেমিনারে এ পরামর্শ দেন তারা। তবে এলপি গ্যাসের যত্রতত্র ব্যবহার এবং সিলিন্ডার দুর্ঘটনা রোধে যুগোপযোগী ও আধুনিক নীতিমালা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

২০০৯ সালে দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির চাহিদা ছিল মাত্র ৬৬ হাজার মেট্রিক টন।

বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে সাড়ে ১৪ লাখ মেট্রিক টনে। তবে ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  বাড়ছে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাও। এছাড়া রাস্তাঘাটসহ ফুটপাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার। শুধু তাই নয়, সরকার নির্ধারিত দামও মানছে না অনেক ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ী।
তাই এলপিজি খাতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে যুগোপযোগী ও আধুনিক নীতিমালা তৈরির সময় এসেছে বলে মনে করছে সরকার।

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে শিল্প কারখানায়। তবে গ্যাসের চাপ কম থাকায় প্রায়ই ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন। তাই শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হোটেল রেস্তোরাঁ ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিবর্তে এলপিজির ব্যবহার বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, এলপিজির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ভূমিকা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সচেতন হতে হবে ব্যবহারকারীদেরও।

ভোক্তাদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে ও সঠিক দামে সিলিন্ডার প্রাপ্তিতে বিইআরসির নজরদারি বৃদ্ধির তাগিদও উঠে আসে আলোচনায়।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক