এবার গাজায় স্থল অভিযান শুরু করলো ইসরায়েল 

সংগৃহীত ছবি

এবার গাজায় স্থল অভিযান শুরু করলো ইসরায়েল 

অনলাইন ডেস্ক

গাজার উত্তরাংশে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। তাদের বেঁধে দেওয়া ২৪ ঘণ্টা সময় পার হওয়ার পর এই অভিযান শুরু করেছে তারা।  

রয়টার্স জানায়, গত শনিবার হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী কেবল আকাশপথেই গাজায় আক্রমণ চালিয়ে আসছিল। এবার তা স্থল যুদ্ধের রূপ নিল।

শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল হামলা শুরুর আগেই গাজার উত্তরাংশের বহু মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ অংশে চলে যেতে দেখা যায়। তবে ঠিক কত সংখ্যক বাসিন্দা সরে যেতে পেরেছেন, সেই সংখ্যা জানা যায়নি।  

গাড়ির সঙ্গে ঘরের জিনিসপত্র বেঁধে কিংবা ট্রাকে চেপে যে যেভাবে পারেন পালানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। অনেকে আবার থেকে যাওয়ার কথাও বলছিলেন।

আরও পড়ুন...স্থল অভিযানে ৫ কারণে হারতে পারে ইসরায়েল

ইসরায়েলের বোমায় গুঁড়িয়ে যাওয়া একটি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ নামের ২০ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি তরুণ রয়টার্সকে বলেন, “চলে যাওয়ার চেয়ে এখানে থেকে মরা ভালো। আমি এখানে জন্মেছি, এখানেই মরতে চাই। ”

ইসরায়েল ওই হুমকি দেওয়ার পর হামাস গাজার বাসিন্দাদের যার যার বাড়িতে থাকার আহ্বান জানায়। ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথাও তারা বলে। মসজিদের মাইক থেকেও স্থানীয়দের যার যার বাড়িতে অবস্থান করার আহ্বান জানানো হয়।    

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের ওই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। না হলে ভয়ংকর মানবিক সংকট তৈরি হবে বলেও সতর্ক করা হয়।

কিন্তু ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি পরে বলেন, তাদের পদাতিক বাহিনী ট্যাংকের সহায়তা নিয়ে গাজার ভেতরে অভিযান চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি রকেট হামলাকারীদের ‘নির্মূল’ করার পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছে তারা।  

হামাস যোদ্ধারা গত শনিবার সীমান্ত পেরিয়ে তিন দিক থেকে ইসরায়েলের দক্ষিণ অংশে ঢুকে পড়ে। তাদের হামলায় অন্তত ১৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়, হামাস যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করেছে আরও দেড়শ জনকে।

পাল্টা জবাবে ইসরায়েল গাজায় হামাসের সামরিক শাখা এবং অবকাঠামোতে জোর বিমান হামলা শুরু করে। গত ছয়দিনে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজায় ৬ হাজারের বেশি বোমা ফেলে, তাতে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।

news24bd.tv/আইএএম