২৫৬ রানে থামলো বাংলাদেশের রানের চাকা

সংগৃহীত ছবি

২৫৬ রানে থামলো বাংলাদেশের রানের চাকা

অনলাইন ডেস্ক

তানজিদ হাসান তামিম এবং লিটন দাসের এনে দেওয়া উড়ন্ত সূচনার পর ভারতের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে সেই স্বপ্ন হয়নি পূরণ। মাঝে মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় একটা সময় তো আড়াই শ রানই অরাধ্য বলে মনে হচ্ছিল। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শেষদিকে দ্রুত গতিতে রান তোলায় লড়াকু স্কোর পেয়েছে টাইগাররা।

পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান রান তুলেছে বাংলাদেশ।    

পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ইনিংসের শুরুতে ভারতীয় বোলারদের সমীহ করে খেললেও সময় নিতেই রান তোলার গতি বাড়ান তানজিদ-লিটন। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। তবে ৯৩ রানে এ জুটি ভাঙতেই অল্প সময়ের ব্যবধানে আরও ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তানজিদ ফেরার পর স্কোরবোর্ডে আর ৪৪ রান যোগ হতেই একই পথ হাঁটেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং লিটন দাস। এরপর মাঝে মুশফিকুর রহিম এবং শেষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ - এ দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের চেষ্টায় স্কোরবোর্ডে ২৬০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।  

অথচ তানজিদ-লিটনের এনে দেওয়া শুরুর পর তিন শ রানের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তা আর হয়নি টাইগার ব্যাটারদের ব্যর্থতায়।  

বাংলাদেশ ইনিংসে প্রথম ধাক্কা লাগে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে প্রথম ফিফটি করে তানজিদ তামিমের বিদায়ে। কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লুউ হন তিনি। ৫১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। চোটে পড়া সাকিব আল হাসানের জায়গায় দলকে নেতৃত্ব পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৮ রান। এরপর চারে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরেন উইকেটের পেছনে লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়ে। মোহাম্মদ সিরাজের বাইরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন ৩ রান করা মিরাজ।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফিফটির পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে 'গোল্ডেন ডাক' মারেন লিটন। ভারতের বিপক্ষে অবশ্য রানে ফিরেছেন তিনি। তানজিদের মতো ফিফটি তুলে নেন তিনিও। তবে ইনিংস টেনে বেশি লম্বা করা হয়নি তার। জাদেজার ঝুলিয়ে দেওয়া বল সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন লং-অফে। ৬৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

মাত্র ৪৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে পথ হারানো বাংলাদেশকে পথে আনার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম এবং তাওহীদ হৃদয়। মুশফিক তাও সুযোগ বুঝে রান তুললেও হৃদয় ছিলেন খোলসবন্দী হয়ে। তবে সেই খোলস থেকে বের হতে উইকেট বিলিয়ে আসেন তিনি। এরপর রান বের করতে গিয়ে একই পথ ধরেন মুশফিকও।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে হাজার রান করার পর মুশফিক ছিলেন ফিফটির পথে। তবে এবারের বিশ্বকাপে তৃতীয় ফিফটি তুলে নিতে পারেননি তিনি। বুমরাহর বলে কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হন তিনি। ৩৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এর আগে শারদুল ঠাকুরের বল স্লগ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেন হৃদয়। মিড উইকেটে তিনি ধরা পড়েন শুভমন গিলের হাতে। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা এই ডানহাতি ৩৫ বলে করেন মাত্র ১৬ রান।

বাংলাদেশ শেষদিকে আড়াই শ ছাড়ায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কল্যাণে। সমান ৩ চার ও ছক্কায় ৪৬ রান করে মাহমুদউল্লাহ। শেষ ওভারে ফিফটির দুয়ারে থাকলেও বুমরাহর দুর্দান্ত এক ইয়ার্কারে বোল্ড হন তিনি। এর আগে নাসুমের ১৪ রানও কাজে আসে টাইগারদের। শেষ বলে শরীফুল ইসলাম ছক্কা মেরে দলের স্কোরবোর্ড আরও ভদ্রস্ত করেন।

news24bd.tv/SHS