যুদ্ধবিরতি: গাজায় ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক

সংগৃহীত ছবি

যুদ্ধবিরতি: গাজায় ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক

অনলাইন ডেস্ক

ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি শুরুর পর অবরুদ্ধ গাজায় প্রবেশ করছে ত্রাণবাহী ট্রাক। এসব ট্রাকে জ্বালানি ও রান্না করার গ্যাস রয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় কাতারের মধ্যস্ততায় চার দিনের এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। খবর আল জাজিরা

যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে কিছু বন্দী বিনিময়ের কথা রয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার ৪৮ দিন পর সাময়িক বিরতিতে সম্মত হলো দুই পক্ষ। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থাগুলোর এসব ত্রাণ মিসর থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোর মধ্যে চারটি ট্রাকে জ্বালানি এবং চারটি ট্রাকে রান্না করার গ্যাস রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ইসরাইলি সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, জ্বালানিগুলো ইসরাইলি সরকার কর্তৃক অনুমোদন পাওয়ার পরই গাজায় প্রবেশ করেছে।

এটা যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটা অংশ। রাফাহ থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে আজ ২০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে।

এদিকে, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় সরবরাহের জন্য ২০০টি ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপর এসব ট্রাক গাজায় প্রবেশ করার কথা রয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মধ্যপ্রাচ্যের মুখপাত্র আবির ইতেফা বলেছেন, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি যুদ্ধ বন্ধের একটি এগিয়ে যাওয়ার ধাপ। তবে শুধুমাত্র সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমেই গাজায় মানবিক চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করা সম্ভব।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মধ্যপ্রাচ্যের এই মুখপাত্র বলেন, মানুষের প্রতিদিন খাবারের প্রয়োজন, রুটি দরকার। চার দিনের যুদ্ধবিরতি এবং চার দিনের সাহায্য এই চাহিদার সাগরে কিছুই নয়।

উল্লেখ্য, যুদ্ধ শুরুর পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাদ্য, জ্বালানি ও পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। ফলে গাজায় অমানবিক এক কৃত্রিম সংকট শুরু হয়। একদিকে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু রকেট হামলা আরেকদিকে খাদ্য সংকটের পর অবশেষে সাময়িক এ যুদ্ধবিরতির পর কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলেন গাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা।

news24bd.tv/AA

এই রকম আরও টপিক