প্রতীক বরাদ্দ শেষে আজ শুরু হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা

নির্বাচনি প্রচারণা (ফাইল ছবি)

প্রতীক বরাদ্দ শেষে আজ শুরু হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা

অনলাইন ডেস্ক

আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছেন মনোনয়নপত্র বৈধ ও চূড়ান্ত হওয়া প্রার্থীরা। এর মধ্য দিয়েই নির্বাচনি ডামাডোল অলি গলি আর মাঠে গড়াবে।  

যদিও এর আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম তোলা ও জমা থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপলক্ষকে কেন্দ্র করে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণায় রয়েছেন। সভা-সমাবেশ ও মিটিং মিছিল করে যাচ্ছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা।

এসব ক্ষেত্রে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শোকজও খেয়েছেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী এমপিসহ প্রভাবশালী অনেক প্রার্থী। গতকালও কয়েকজনকে শোকজ করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।  

সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ২৬টি ও ১৪ দলের শরিকদের জন্য ছয়টি মোট ৩২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

আজ প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু হচ্ছে। নির্বাচনের ব্যালট পেপার ব্যতীত সব উপকরণ পাঠানো সম্পন্ন করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আলাপ করে অতি শিগগিরই তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। গতকাল রোববার গনভবনে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।  

এর আগে সকাল ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইস) কাজী হাবিবুর আউয়াল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে ইসি সচিব বলেন, সকাল ১১টায় মহামান্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি মহোদয়।  

বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল প্রত্যাখ্যান করে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মিত্ররা নির্বাচনী তফশিলকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে চালিয়ে যাচ্ছে।  

বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়েই ৩০ নভেম্বর নির্ধারিত দিনে মনোনয়ন গ্রহণ শেষ করা হয়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা রোববার শেষ হয়েছে। এ দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন।
news24bd.tv/আইএএম