যেসব কারণে পদত্যাগ করলেন জাপার ৬ শতাধিক নেতাকর্মী

জাতীয় পার্টি

যেসব কারণে পদত্যাগ করলেন জাপার ৬ শতাধিক নেতাকর্মী

জাতীয় পার্টির ছয় শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা। একই সঙ্গে জাপাকে নতুন করে ব্র্যাকেটবন্দি করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ঢাকা উত্তর মহানগরের বিভিন্ন থানার এসব নেতাকর্মী। জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে পদত্যাগ করেন তারা।

 

পদত্যাগ করা নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দলীয় চেয়ারম্যান হওয়ার আগ থেকে তিনি এককভাবে নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা ও মিডিয়ায় দেওয়া বিভিন্ন বিবৃতিতেও একই কথা বলেছিলেন। সরকারবিরোধী বিভিন্ন গরম গরম কথায় আমরা তার ওপর আস্থাশীল হয়ে উঠেছিলাম। নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই বুঝতে পেরেছিলাম নিজের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছেন তিনি।

৩০০ আসনে প্রার্থী মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু ২৬ আসনের বিনিময়ে তিনি দলকে আওয়ামী লীগের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে।  

কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠন বলেন, চেয়ারম্যান-মহাসচিবের বিরুদ্ধে নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা প্রতিবাদ জানান। তৃণমূল পর্যায় থেকে পার্টিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান-মহাসচিবের পদত্যাগের দাবি ওঠে। দুরবস্থার মধ্যেও চেয়ারম্যান সেচ্ছাচারিতার নিকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে পার্টির নিবেদিত প্রাণ নেতাদের একে একে অব্যাহতি দিয়ে চলেছেন। তিনি পল্লীবন্ধুর নাম নিশানা মুছে দেওয়ার হীন চক্রান্ত করে যাচ্ছেন। জিএম কাদের নেতাকর্মীদের প্রতিবাদের ভাষা বুঝতে না পেরে প্রতিহিংসাবশত পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সংগ্রামী আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এছাড়াও কয়েকজন নেতাকে মৌখিকভাবে অব্যাহতির কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সারাদেশে করোনা মহামারির সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সেন্টুর নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরের ২৫টি থানা ও ৫৪টি ওয়ার্ড সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছিল। সেই ত্যাগি নেতাকে কোনো রকম কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই অব্যাহতি দিয়েছেন। যা শিষ্টাচার বহির্ভূত। এই অবস্থায় আমরা জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন সংগঠনে অবস্থান করে প্রাণপ্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির ধ্বংস দেখতে চাই না। তাই আমরা জিএম কাদেরের সংগঠন থেকে গণপদত্যাগের ঘোষণা করছি। আপনাদের কাছে অঙ্গীকারও রাখছি- অল্প সময়ের ব্যবধানে আমরা এরশাদের চেতনা প্রেরণা ও নীতি আদর্শ বাস্থবায়নে ঐক্যবদ্ধ হবো। সত্যের পথে আমাদের বিজয় সু-নিশ্চিত। ইনশাআল্লাহ!

news24bd.tv/আইএএম