বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নকীব আকবর আলীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পথচারীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শহরতলীর মুনিগঞ্জ সেতু এলাকায় বাগেরহাট- চিতলমারী সড়কের একটি ইটভাটার সামনে থেকে পথচারিরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মাথা, চোখ ও কপালে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলে তার ব্যবহার করা মোটরসাইকেলটিও পড়ে ছিল।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান নকীব আকবর আলীর স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।
পথচারিরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পথচারিরা বাগেরহাট-চিতলমারী আঞ্চলিক মহাসড়কের মুনিগঞ্জ সেতু এলাকায় একটি ইট ভাটার কাছে বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নকীব আকবর আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা দ্রুত বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের জামাতা এ্যাডভোকেট এনামুল হোসেন জানান, আদালতে মামলার কাজ শেষে রাতে মোটরসাইকেলযোগে ফিরছিলেন তার শ্বশুর এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তার চোখ, কপাল ও মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অনেক শত্রু রয়েছে, মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিতেও পারে তারা। এসময় তিনি দ্রুত তদন্ত করে সঠিক ঘটনা উদ্ঘাটনের দাবি জানান।
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগর জানান, এটি হত্যাকাণ্ড না সড়ক দুর্ঘটনা, কোনোটিই এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশকে তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে ভূমিকা রাখতে হবে। অপরাধী যদি অনেক বেশি ক্ষমতাধর হলেও তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। নকীব আকবর আলীর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. সানজানা জানান, মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় আওয়ামী লীগ নেতা নকিব আকবর আলীকে। বিষয়েটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।
বাগেরহাট সদর থানার ওসি (অপারেশন) সুব্রত কুমার সরদার জানান, মৃতদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, নাকি সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতের ঘটনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে। পাশাপাশি প্রকৃত ঘটনা উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
news24bd.tv/SHS
