পাংশায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ  

প্রতীকী ছবি

পাংশায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ  

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর পাংশায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী (১২) নামের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে একাধিকবার চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীর পিতা সোহেল রানা মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

ধর্ষণের শিকার (১২) পাংশা উপজেলার যশাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। সে তার দাদীর সাথে যশাই গ্রামের বসবাস করে।

আর্থিক অসস্থলতার কারণে তার পিতা সোহেল রানা ও মা স্বপ্না খাতুন বান্দরবানে থাকে।

ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর খালা শ্যামলী আক্তার বলেন, 'আমার ভাগ্নী প্রচন্ড অসুস্থ। গত কয়েক দিন যাবত তার পেটে ব্যথা শুরু হলে সে সব কথা আমাদের বলে। প্রায় দুই থেকে তিন মাস যাবত বাড়ির পাশের দুলাল বিশ্বাস (৫৫) ও রাকিবুল (৩৫) চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেছে।

আমি আমার ভাগ্নীকে নিয়ে পাংশা হসপিটালে এসেছি। এখানে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাই রাজবাড়ী সদর হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছি। আমার দুলাভাই ও বোন রওনা করেছে। তারা এলে মামলা করবো'।

স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা বলেন, 'দুলাল বিশ্বাস আগে গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি-মালার ব্যবসা করতো। এখন কারিগরের কাজ করে। অন্য আরেক অভিযুক্ত রকিবুল রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে'।  

ধর্ষণের শিকার ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীর পিতা সোহেল রানা বলেন, 'এলাকায় দেনাদায়ী হওয়ার কারণে বান্দরবান এসে একটা ব্যবসা করি। আমার স্ত্রী এখানে একটা গার্মেন্টস কাজ করে। আমার মেয়ে কিছুটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সে আমার বৃদ্ধ মার সাথে গ্রামে থাকে। সেই সুযোগে দুলাল ও রকিবুল আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমারা বাড়ি এসে মামলা করবো'।  

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, 'আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে'।  

news24bd.tv/TR     
 

এই রকম আরও টপিক