রমজানে আল্লাহর রহমত লাভের সর্বোৎকৃষ্ট কিছু দোয়া

রমজানে আল্লাহর রহমত লাভের সর্বোৎকৃষ্ট কিছু দোয়া

রমজানে আল্লাহর রহমত লাভের সর্বোৎকৃষ্ট কিছু দোয়া

অনলাইন ডেস্ক

সৃষ্টি চলে স্রষ্টার দয়া ও রমহতে। আল্লাহর রহমত ছাড়া কোনো প্রাণীর পক্ষে এক মিনিট বেঁচে থাকাও সম্ভব নয়। আল্লাহর রহমত প্রত্যাশীদের জন্য কোরআন ও হাদিসে বিশেষ দোয়া ও আমলের শিক্ষা রয়েছে। এখন চলছে রমজান।

এই রমজানে ওসব দোয়া ও আমলের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত। এরকম কিছু দোয়া ও আমল নিচে তুলে ধরা হলো।  

আল্লাহর রহমত লাভে কোরআনে বর্ণিত এই দোয়াটি আমরা বেশি বেশি পাঠ করতে পারি-  رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

উচ্চারণ: ‘রব্বিগফির ওয়ার হাম ওয়া আনতা খইরুর র-হিমীন। ’ অর্থ: ‘হে আমার রব! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আর আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।

(সুরা মুমিনুন: ১১৮)

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আল্লাহর রহমত লাভের আরেকটি বিশেষ দোয়া হলো— رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً وَّ هَیِّیٴۡ لَنَا مِنۡ اَمۡرِنَا رَشَدًا

উচ্চারণ: রব্বানা আ-তিনা মিল্লাদুনকা রহমাহ, ওয়াহায়্যি’লানা মিন আমরিনা রশাদা। ’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাদের অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন। ’ (সুরা কাহাফ: ১০)

বেশি বেশি দরুদ পড়া আল্লাহর রহমত লাভের মাধ্যম। একটি দরুদ হলো—‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ’ এটা পড়তে খুব বেশি সময় লাগে না। তবে, সর্বোত্তম দরুদ হলো, দরুদে ইবরাহিম, যা নামাজ শেষে পাঠ করা হয়। রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ১০টি রহমত বর্ষণ করেন। ’ (সুনানে তিরমিজি: ৪৮৫)

মানুষের প্রতি দয়া করা মহান আল্লাহর রহমত লাভের বড় উপায়। কারণ আল্লাহ তাআলার একটি নীতি হলো- তিনি দয়ালুদের দয়া করেন। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা দয়ালুদের ওপর দয়া ও অনুগ্রহ করেন। যারা জমিনে বসবাস করছে তাদের প্রতি তোমরা দয়া করো, তাহলে যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। দয়া রহমান থেকে উদগত। যে ব্যক্তি দয়ার সম্পর্ক বজায় রাখে আল্লাহ তাআলাও তার সঙ্গে নিজ সম্পর্ক বজায় রাখেন। যে লোক দয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করে, আল্লাহ তাআলাও তার সঙ্গে দয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করেন। ’ (তিরমিজি: ১৯২৪)

নামাজ কায়েম করা ও জাকাত দেওয়া মহান আল্লাহর রহমত লাভের অন্যতম মাধ্যম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং রাসুলের আনুগত্য করো, যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হতে পারো। ’ (সুরা নুর: ৫৬)

বেশি বেশি নেক আমল করলেও আল্লাহর রহমত মেলে। আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন, তাদের রহমতের চাদরে আগলে রাখেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের রবকে ডাকো অনুনয়-বিনয় করে ও চুপিসারে। নিশ্চয়ই তিনি পছন্দ করেন না সীমা লঙ্ঘনকারীদের। শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হওয়ার পর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না, আর তাঁকে ভয়ভীতি ও আশা-ভরসা নিয়ে ডাকতে থাকো, আল্লাহর রহমত তো (সব সময়) তাদের কাছে আছে, যারা নেক আমল করে। ’ (সুরা আরাফ: ৫৫-৫৬)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত দোয়া ও আমলগুলো নিয়মিত করার, বিশেষ করে এই রমজানে বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

news24bd.tv/aa