মিয়ানমারের পুরুষদের বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার অনুমতি স্থগিত রেখেছে দেশটির জান্তা সরকার। দেশটির প্রায় ১ লক্ষ নাগরিক গেলো তিনমাসে বিদেশে কাজ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
মিয়ানমারে বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের আইন কার্যকর হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মাথায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা বিদেশে কাজের অনুমতি নেওয়ার প্রক্রিয়াও স্থগিত করবে।
এশিয়ার অন্যান্য দেশে বড় সংখ্যক মিয়ানমারের প্রবাসী নাগরিক রয়েছে। এর আগে স্থানীয়দের বিদেশে চাকরির করতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশে গৃহযুদ্ধ বেড়ে যাওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জান্তা।
মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি দিন দিন জটিল আকার ধারণ করছে। সীমান্ত অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহী জোটের কাছে হেরে গিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ পরিস্থিতিতে দেশের সব তরুণ-তরুণীদের জন্য সেনাপ্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে ফেব্রুয়ারিতে একটি আইন জারি করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
যেখানে বলা হয়, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের সব পুরুষ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সের সব নারীদের অন্তত দুই বছর সেনাবাহিনীর অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। ওই আইন জারির পর অনেকেই সেনাপ্রশিক্ষণ গ্রহণ এড়াতে নানা ভাবে দেশ ছাড়ার প্রচেষ্টা শুরু করে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের আইনটি মূলত ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল। তবে এ বছরই প্রথম তা কার্যকর করা হয়েছে।
আইনে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থায় সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক কাজ করার সময়সীমা দুই বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর পর্যন্ত করা যাবে। সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য কাউকে তলব করা হলে তিনি যদি যোগ না দেন তবে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাব অনুসারে ২০২০ সালে ৪০ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক বিদেশে কাজ করছিলেন। মিয়ানমারের তৎকালীন সরকারের তথ্যের বরাতে এমন হিসাব দিয়েছিল আইএলও।
news24bd.tv/DHL