রাজশাহীতে এক তরুণ-তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুক আইডি হ্যাক করে কেউ এসব ছবি নিয়ে ফাঁস করেছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী তরুণ। এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়।
ভুক্তভোগী এই তরুণ রাজশাহী কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
তারা জানান, তাদের মধ্যে তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক আছে। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়েও ঠিক আছে।
ভুক্তভোগী তরুণ বলেন, তিনি আরিফ কেমিস্ট্রি নামে শহরের একটি কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপক ছিলেন। মাসখানেক আগে তিনি এই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এখন তার কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু ফেসবুক পোস্টে এই ছবি প্রকাশ করে আরিফ কেমিস্ট্রির পরিচালক আরিফুল ইসলাম আরিফকে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি পুরোপুরি মিথ্যা। তার ব্যক্তিগত বিষয়কে কোচিং সেন্টারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। এ থেকেই বোঝা যায় কোচিং সেন্টারটির সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি জানান, প্রথমদফায় তার ছবি প্রকাশের পর তার মোবাইলে একটি কল এসেছিল। অচেনা এক ব্যক্তি সমস্যার সমাধানের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়। যোগাযোগ না করলে আরও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ওই ব্যক্তি। এ ব্যাপারে আইনগত সহায়তা পেতে তিনি ২১ মে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, জিডির তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’