হজ শ্রমসাধ্য ইবাদত। তাই যুবক বয়সে হজ করাই উত্তম। আর এই বয়সে আল্লাহর জন্য শ্রম দানের বিশেষ আনন্দও। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে নিজেদের সেই আনন্দের কথা জানিয়েছেন চার যুবক হাজি। আল জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ভাষান্তর করেছেন আবরার আবদুল্লাহ। রায়া মাহদি রায়া মাহদি একজন ইরাকি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। তাঁর পাঁচ-ছয় বছর বয়স থেকেই তিনি হজের স্বপ্ন দেখেন। তিনি ২০২৪ সালে ফরজ হজ পালন করেন। তিনি বলেন, অনেকেই আমাকে পরামর্শ দিয়েছিল যে, সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে যেন আমি এই ফরজ আদায় করি। কেননা হজের সফরে শিশুদের নিয়ে এলে তাদের যত্ন নেওয়া ও খেয়াল রাখা কঠিন। যদিও তা অসম্ভব নয়। আর যদি তাদেরকে পরিবার-পরিজনের কাছে রেখ আসা হয়, তবে হজ আদায়ের সময় তাদের চিন্তা মাথায় চলে আসবে। সন্তানের চিন্তা মায়েদেরকে বিচলিত করে তুলবে। রায়ার স্বামী ফাদি মাহদি ও শ্বাশুরীও তাঁকে...
চার যুবকের হজ অভিজ্ঞতা
অনলাইন ডেস্ক

ছয় শর্তে নেককাজ ইবাদত বলে গণ্য হয়
আলেমা হাবিবা আক্তার

সাধারণ অর্থে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা যাবতীয় নেক আমলকে ইবাদত বলা হয়। তবে প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, কোনো নেক কাজকে ইবাদত আখ্যা দিতে হলে ছয়টি শর্ত পাওয়া আবশ্যক। নিম্নে তা বর্ণনা করা হলো: ১. শরয়ি প্রমাণ থাকা : কোনো কিছুকে ইবাদত হিসেবে গণ্য করতে হলে এবং ইবাদত হিসেবে পালন করতে হলে তা অবশ্যই শরয়ি দলিলাদি দ্বারা প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্মদিনে ঈদ (আনন্দ) উদ্যাপন। এটা শরিয়ত কর্তৃক প্রমাণিত নয়। সুতরাং তা বিদআত বলে গণ্য হবে। একইভাবে মিরাজের রাতকে ইবাদতের জন্য নির্ধারণ করাও শরয়ি দলিল দ্বারা প্রমাণিত নয়। ২. শরয়ি প্রকারভুক্ত হওয়া : ইবাদত হওয়ার একটি শর্ত হলো তা শরিয়ত অনুমোদিত প্রকারভুক্ত হতে হবে। যেমন ঘোড়া দিয়ে কোরবানি করা শরিয়তের খেলাফ। কেননা শরিয়ত যে প্রকারের পশু দ্বারা কোরবানি করতে বলেছে ঘোড়া তার অন্তর্ভুক্ত নয়। সে প্রকারগুলো হচ্ছে উট,...
যুদ্ধ নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠাই ইসলামের মূল লক্ষ্য
আবু তাশফিন
নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র কোরআনে ইসলাম ও মুসলমানদের রক্ষায় প্রাণ লড়াইয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মানে এই নয় যে সবক্ষেত্রে যুদ্ধই একমাত্র সমাধান। ইসলামের মূল উদ্দেশ্য হলো, শান্তি প্রতিষ্ঠা। শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলাম বরাবর শান্তিপূর্ণ সংলাপকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যতক্ষন না শত্রুপক্ষ থেকে আগ্রাসন ও প্রতারণার আশঙ্কা থাকে। যদি শত্রুপক্ষ সত্যিকার অর্থে নমনীয় হয়ে সংলাপের আহ্বান করে, তবে মুসলমানদের উচিত, তাতে সাড়া দেওয়া। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর যদি তারা সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তাহলে তুমিও তার প্রতি ঝুঁকে পড়, আর আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সুরা আনফাল, আয়াত : ৬১) এই আয়াতে সন্ধির বিধান বর্ণিত হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি শত্রুপক্ষ কোনো সময় সন্ধির প্রতি আগ্রহী হয়, তবে আপনারও তাই করা উচিত। এর দ্বারা বোঝা যায় যে, নিরাপত্তা সবসময়ই কাঙ্খিত বিষয়।...
ভাষার উৎস, কোরআনের ভাষা ও শব্দের মালিকানা
আসআদ শাহীন
নিজস্ব প্রতিবেদক

খ্রিস্টপূর্ব ৫২০০ থেকে ১৫০০ সালের মধ্যে শাম (সিরিয়া ও সংলগ্ন অঞ্চল) ফিলিস্তিন, ইরাক, ইবার, ফিনিশিয়া এবং মিশরে যে সকল জাতিগোষ্ঠী বসবাস করত, তাদের চরিত্র, ভাষা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সামাজিক রীতিনীতিতে এমন এক বিস্ময়কর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়, যা কেবল কোনো সাধারণ যোগাযোগের ফসল নয়, বরং এক অভিন্ন উেসর ইঙ্গিত বহন করে। ইতিহাসবিদরা এই আশ্চর্যজনক মিলের ভিত্তিতে এমন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে ব্যাবিলীয়, আসিরীয়, ক্যালডীয়, আমোরীয়, হিব্রীয়, আরবি ও মিসরীয়এই সকল জাতিই মূলত একক বংশধারা, অর্থাত্ সামি বা সেমেটিক জাতির অংশ। তবে এই সামি জাতির আদি নিবাস কোথায় ছিল, সে নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতভেদ বিদ্যমান। একদল গবেষক মনে করেন, এই জাতিগোষ্ঠীর বিস্তার উত্তর আফ্রিকা থেকে হয়েছে; অপরদিকে, বাইবেলের প্রভাবাধীন আরেকটি গোষ্ঠী মনে করে তাদের জন্মভূমি ছিল দজলা ও ফুরাত নদীর...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর