মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত সুপ্রাচীন জেলা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার প্রাচীনতম কওমি মাদরাসার একটি জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসা। ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব গঠন ও দ্বীনি শিক্ষার প্রচার-প্রসারে ঈর্ষণীয় অবদান রেখে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। তাই প্রত্যন্ত গ্রামে অঞ্চলে এর অবস্থান হলেও বৃহত্তম নোয়াখালীর হাজারো আলেম এই মাদরাসা থেকে কোরআন-হাদিসের পাঠ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের বহু কৃতী সন্তান কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডসহ ধর্মীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেক্ষাপট ১৪০৮ হিজরী, মোতাবেক ১৯৮৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। নির্ভরযোগ্য এই ইসলামী বিধ্যাপীঠটি প্রতিষ্ঠা করেন নোয়াখালীর বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা তাজুল ইসলাম। আজ অবধি তিনিই এই মাদরাসার পরিচালকের দায়িত্বে...
প্রত্যন্ত গ্রামে ইলম ও আমলের বাতিঘর
মুফতি আব্দুল আজিজ

কোরবানির বাজেট করার সময় লক্ষণীয় বিষয়
মাইমুনা আক্তার

কোরবানি ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। কিন্তু কোরবানি সম্পর্কে আমাদের পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকার কারণে বিভিন্ন সময় এর সঙ্গে অনেক ভুল ধারণাকেও গুলিয়ে ফেলি। তার মধ্যে একটি হলো পরিবারের যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে আছে, তাদের পক্ষ থেকে না দিয়ে গৃহকর্তার পক্ষ থেকে কিংবা পরিবারের অন্য পুরুষ সদস্যদের পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া। অথচ অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারে দেখা যায়, নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকার কারণে পরিবারের নারী ও কন্যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে। আবার অনেক পরিবারে মা-বাবার পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া হলেও তাঁদের অবিবাহিত ছেলে-মেয়ের (যারা শিক্ষা বা বিয়ের জন্য রাখা টাকা বা সোনা দিয়ে সাহেবে নিসাব হয়ে গেছে) পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া হয় না। অথচ নিসাব পরিমাণে সম্পদের মালিক হওয়ায় তাদের ওপরও কোরবানি ওয়াজিব। আবার অনেক পরিবারে দেখা যায়, বড় পশুতে কোরবানি দেওয়ার আশায়...
মসজিদে যেসব কাজ করা বৈধ
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

মসজিদ মুসলমানদের মিলনমেলা। সেখানে মুসলমানরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। রমজান মাসে ইতিকাফ করে থাকে। এছাড়াও কিছু কাজ আছে, যা মসজিদে করা বৈধ। যেমন কোরআন তেলাওয়াত : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, কোনো জাতির লোকেরা যখন আল্লাহর ঘরগুলোর মধ্য থেকে কোনো ঘরে একত্রিত হয়, যেখানে তারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে বা পরস্পর আলোচনা করে, তাদের ওপর প্রশান্তি নাজিল হতে থাকে, তাদের রহমত ঢেকে রাখে এবং ফেরেশতারা তাদের বেষ্টন করে রাখে। আর আল্লাহ নিকটবর্তী ফেরেশতাদের সঙ্গে তাদের নিয়ে আলোচনা করেন। (মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৯) জিকির-আজকার করা : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলিম যতক্ষণ মসজিদে সালাত ও জিকিরে রত থাকে, ততক্ষণ আল্লাহ তাঁর প্রতি এতটা আনন্দিত হন, প্রবাসী ব্যক্তি তার পরিবারে ফিরে এলে তারা তাকে পেয়ে যেরূপ আনন্দিত হয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮০০)...
মোগল শাহজাদি জিনাতুন নিসার জনসেবা
আলেমা হাবিবা আক্তার

জিনাতুন নিসা বেগম ছিলেন মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব আলমগিরের দ্বিতীয় কন্যা। তার মায়ের নাম দিলরাজ বানু বেগম। তার মেধা, যোগ্যতা ও গুণাবলীর কারণে সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে পাদশাহ বেগম উপাধি দেন। এটা ছিল মোগল পরিবারে নারীদের জন্য সবচেয়ে সম্মানজনক উপাধি। জিনাতুন নিসা বেগম ৫ অক্টোবর ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে আওরঙ্গবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার দিলরাজ বানু ছিলেন পারস্যের সাফাভিদ রাজপরিবারের শাহজাদি। রাজকীয় ব্যবস্থাপনায় শাহজাদি জিনাতুন নিসা বেগমের লেখাপড়া সম্পন্ন হয়। তার পিতা সম্রাট আওরঙ্গজেব ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক ও ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানানুরাগী। ফলে তার তিন মেয়েই ধর্মীয় ও জাগতিক জ্ঞানে পাণ্ডিত্য লাভ করেন। জিনাতুন নিসার অপর দুই বোন হলেন- বড় বোন জেবুন নিসা এবং ছোট বোন জুবদাতুন নিসা বেগম। ব্যক্তিগত জীবনে জিনাতুন নিসা বেগম...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর