মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয় নি। পেন্টাগন বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের আগে অবশ্যই সেখানে সহিংসতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসতে হবে। ২০ বছর আগে তালেবান হটানোর নামে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করে আমেরিকা।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবারের ন্যাটো জোটের কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন এবং তাতে আফগানিস্তানে মোতায়েন জোটের ৯,৬০০ সেনার ভাগ্যে কী হবে তা নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সরকার তাড়াহুড়ো কিংবা বিশৃঙ্খলভাবে সেনা প্রত্যাহার করবে না যাতে ন্যাটো জোটের সুনাম ক্ষুন্ন হয়। গতমাসে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম অস্টিন লয়েড পেন্টাগনে প্রথম সাংবাদিকদের ব্রিফ করলেন।
আরও পড়ুন:
একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর জনগণের কাঁধে: মির্জা ফখরুল
আত্মমর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বিশ্বের বুকে চলবো: প্রধানমন্ত্রী
সৌদিতে আটক ইয়েমেনি তেলবাহী জাহাজ মুক্ত করতে আহ্বান
নরওয়েতে বোমারু বিমান পাঠানোয় ওয়াশিংটনকে মস্কোর হুঁশিয়ারি
তিনি সুস্পষ্ট করে বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত মিশন চলবে এবং যেকোনো ঝুঁকির মুখে নিজেদের রক্ষার ক্ষেত্রে কমান্ডারদের দায়িত্ব ও অধিকার রয়েছে।
এর আগে মার্কিন সরকার ও তালেবানের মধ্যে কাতারে যে চুক্তি হয়েছিল তাতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করবে আমেরিকা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হচ্ছে। ফলে আফগানিস্তান থেকে শিগগিরি মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে মেন হয় না।
news24bd.tv আহমেদ