২০০৯ সালে নিজের বোনের কাছে নিরাপদ থাকার জন্য আপন দুই সন্তানকে দিয়েছিলেন বড় বোন। কিন্তু সেই বোনের হাতেই খুন হতে সেই দুই ভাই বোনকে। গেল বছরের মে মাসে প্রথমে তিনি খুন করেন বোনের ছেলেকে। তারপর তার মরদেহ স্যুটকেসে ভরে গাড়ির পিছনের ডালায় ঢুকিয়ে দেন।
ছেলেটিকে খুন করার কয়েক দিন পর মেয়েটিকেও খুন করেন তিনি। তারপর এক বছর ধরে ওই গাড়িতেই দু’টি শিশুর দেহ নিয়ে ঘোরাফেরা করেছেন নিকোল।কিন্তু অবশেষে ট্রাফিক আইন ভেঙে আশ্চর্যজনভাবে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন তিনি।
ঘটনা আমেরিকার বাল্টিমোর এলাকার।
ট্রাফিক আইন ভেঙে জোরে গাড়ি চালানোর জন্য গত বুধবার পুলিশ তাকে আটক করে। নিকোলের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি সঠিক কাগজ দেখাতে পারেননি ট্র্যাফিক পুলিশকে।
দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা নিকোলকে জানান, গাড়ি তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। এ কথা শোনার পর কোনও আপত্তি জানাননি নিকোল। বরং তিনি জানান, গাড়িটা তারা নিয়ে যেতে পারেন। কেননা তিনি পাঁচ দিন বাড়িতে থাকবেন না। এর পরই নিকোল বলেন, সংবাদের শিরোনামে খুব শিগগিরই আসতে চলেছি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিকোলের গাড়ির ডালা খুলতেই দুর্গন্ধ ভেসে আসে। সেখানে একটি বাক্স দেখা যায়। সেই বাক্সের মধ্যে গলিত একটি শিশুর হাড়। তার পাশেই আরও একটি শিশুর পচাগলা দেহ। এর পরই শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় নিকোলকে।
জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিকোলকে ভরসা করে ২০১৯ সালে ছেলেমেয়েকে তার কাছে রেখে গিয়েছিল বোন। ২০২০ সালের মে মাসে ছেলেটিকে খুন করেন তিনি। তারপর তার মরদেহ স্যুটকেসে ভরে গাড়ির পিছনের ডালায় ঢুকিয়ে দেন।
আরও পড়ুনঃ
দ. কোরিয়ার কোন গালিও দেয়া চলবে না উত্তর কোরিয়ায়
তালেবানের হাত থেকে ২৪ জেলা পুনরুদ্ধারের দাবি
কাছাকাছি আসা ঠেকাতে টোকিও অলিম্পিকে বিশেষ ব্যবস্থা
কী কারণে বোনের ছেলেমেয়েকে খুন করেছেন নিকোল তা খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা।
news24bd.tv/আলী