ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকাডুবি : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকাডুবি : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকা ডুবির ঘটনায় ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কর্মীরা একের পর এক লাশ নিয়ে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে।

আহত ও নিহতদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে পুরো হাসপাতাল চত্বর।

এ পর্যন্ত ১৯ জনের লাশ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত ১১ যাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী আলী আক্তার রিজভী বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে লইসকা বিল এলাকায় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

এতে যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়।

নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় জানা গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পৈরতলা এলাকার আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজল বেগম (৪০), দাতিয়ারা এলাকার মোবারক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মিম (১২), সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেরকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানভীর (৮), চিলোকুট গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার শিশু কন্যা তাকুয়া (৮), নরসিংসার গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭) ও ভাটপাড়া গ্রামের ঝারু মিয়ার মেয়ে শারমিন (১৮)।

আরও রয়েছেন, বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আরিফ বিল্লাহ (২০), বেড়াগাঁও গ্রামের মৃত মালু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৬০), জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৭) ও তার মেয়ে মুন্নি (১০), আব্দুল হাসিমের স্ত্রী কমলা বেগম (৫২), নূরপুর গ্রামের মৃত রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগম (৫০), আদমপুর গ্রামের অখিল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনী বিশ্বাস (৩০) ও পরিমল বিশ্বাসের মেয়ে তিথিবা বিশ্বাস (২) এবং ময়মনসিংহের খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৪৫)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে আছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, এ পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক উদ্ধারকারী দল ও ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। বালুবোঝাই ট্রলারটি পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে এবং আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

news24bd.tv/আলী