ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়ার সার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

সংগৃহীত ছবি

ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়ার সার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

অনলাইন ডেস্ক

ঘোড়াশাল ও পলাশ, দুটি আলাদা ইউরিয়া সার কারখানাকে এক করার মাধ্যমে, উচ্চ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক সার কারখানা নির্মাণ করতে চায় সরকার। তারই অংশ হিসেবে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সময়ে তেঁজগাওয়ে বিসিকের বহুতল ভবন নির্মাণ, মাদারীপুর বিসিক শিল্প নগরী সম্প্রসারণ, বিটাকের কার্যক্রম শক্তিশালী করার লক্ষে টেস্টিং সুবিধাসহ টুল ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং বিএসইসি’র এলইডি লাইট (সিকেডি) অ্যাসেমব্লিং প্ল্যান্ট স্থাপনের চারটি প্রকল্পও উদ্বোধন করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকালে গণভবন থেকে নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশ ফার্টিলাইজার প্রকল্প এলাকায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কার্যক্রমের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঝুঁকিতে আছে দেশ, তাই যেকোনো স্থাপনা নির্মাণে মাথায় রাখতে হবে প্রকৃতি রক্ষার বিষয়টি। সরকারের সঠিক পরিকল্পনার কারণে করোনার মধ্যে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও রক্ষনাবেক্ষণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১০ হাজার ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে, বছরে উৎপাদন হবে, ৯ লাখ ২৪ হাজার টন ইউরিয়া সার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নরসিংদী থেকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ার আশরাফ খান, শিবপুরের সাংসদ জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, বিসিআইসির চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রজেক্ট ডিরেক্টর রাজিউর রহমান মল্লিক, জেলা প্রশাসন-পুলিশ প্রশাসনসহ প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও সুধিজনেরা।

এর আগে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে কাজ শুরু হলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আনুষ্ঠানিকতা আটকে ছিল। সাড়ে তিন বছর পর এসে সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো। এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই পরিবেশবান্ধব সার কারখানাটির প্রকল্পের ৭০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। ১০ হাজার ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটি চালু হলে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।

news24bd.tv/আলী