বগুড়া সদর উপজেলার তেলিহারায় করতোয়া নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউপি সদস্য ও তার সহযোগিদের মারপিটে আহত হয়েছেন সাতজন গ্রামবাসী। আহতদের মধ্যে খোকন নামে এক যুবককে দেখতে যাওয়ার পথে তার বাবা মোখলেছুর রহমানের (৬০) ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। হামলায় মোখলেসুর রহমান নিহত হয়েছেন। নিহত মোখলেছুর তেলিহারা পূর্বপাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে এবং পেশায় ভ্যান চালক।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, শেখেরকোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) এমদাদুল হক সম্প্রতি একটি কালভার্ট নির্মাণের ঠিকাদারী কাজ পান। ওই কাজ করার নামে তিনি পার্শ্ববর্তী করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিলেন। নদী তীরের ফসলী জমি ও বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়ায় গ্রামবাসী গত সপ্তাহে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে।
আহত খোকনের বাবা ভ্যান চালক মোখলেসুর রহমান ছেলে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি জানতে পেরে ছেলেকে দেখতে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে মেম্বারের সহযোগিরা তাকে আটকিয়ে বেদম মারপিটের এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত করে। এতে তিনিও গুরুতর আহত হলে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে একই হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ভর্তির পর দুপুরে মারা যান মোখলেসুর রহমান। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। তবে ইউপি সদস্য ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে আছে। বালু উত্তোলনের বিরোধ ছাড়াও নিহতের পরিবারের সঙ্গে হামলাকারিদের আগে থেকেই পারিবারিক বিরোধ ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। লাশের সৎকার শেষে নিহতের পরিবার এবিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)