আজ উন্মুক্ত হচ্ছে ‘সাদা হাতি’ লোটাস টাওয়ার

সংগৃহীত ছবি

আজ উন্মুক্ত হচ্ছে ‘সাদা হাতি’ লোটাস টাওয়ার

অনলাইন ডেস্ক

অবশেষে পর্যটকদের জন্য আজ বৃহস্পতিবার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে শ্রীলঙ্কার দৃষ্টিনন্দন লোটাস টাওয়ার। একই সঙ্গে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে অবজারভেশন ডেকও। ‘সাদা হাতি’ নামেও পরিচিতি পাওয়া টাওয়ারটি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় মেটাতে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কলম্বো লোটাস টাওয়ার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।

চীনের অর্থে নির্মিত সবুজ ও বেগুনি রঙের বিশাল টাওয়ারটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ টাওয়ার, যা ২০১২ সালে নির্মিত।

টাওয়ারটির উচ্চতা ৩৫০ মিটার। এশিয়ায় ১১তম এবং বিশ্বে ১৯তম উঁচু টাওয়ার। কলম্বোর যেকোনো প্রান্ত থেকেই দৃশ্যমান এটি। এই টাওয়ার নির্মাণে খরচ হয়েছে আনুমানিক ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যার ৮৮.৬৫ মিলিয়ন ডলার চীনের কাছে ঋণ নেয় শ্রীলঙ্কা।
বাকি অর্থ শ্রীলঙ্কা সরকার বহন করে। তবে লোটাস টাওয়ার নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতির নানা অভিযোগও রয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঋণের কিস্তি ২০২৪ সালের মধ্যে শোধ দিতে হবে। বর্তমানে প্রায় ৬৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।

সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত রাজাপাকসে পরিবারের সঙ্গে বেইজিংয়ের যে দহরম-মহরম সম্পর্ক তারই প্রতীক হিসেবে এই টাওয়ারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী খেতাব পায় শ্রীলঙ্কার ‘সাদা হাতি’ নামে।  

বিশ্লেষকদের মতে, চলমান অর্থনৈতিক সংকটে রাজাপাকসে সরকারের ‘সাদা হাতি’ প্রজেক্টগুলোর ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। গত মে মাসে গণবিদ্রোহে ক্ষমতা হারান মাহিন্দা রাজাপাকসে। জুলাইয়ে গদি ছাড়তে হয় গোতাবায়া রাজাপাকসেকেও।

এক দিকে দেশটির ঋণে জর্জড়িত অর্থনীতি। অন্য দিকে লোটাস টাওয়ারের মতো ব্যয় বহুল অবোকাঠামো রক্ষানাবেক্ষণ খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে টাওয়ার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। তাই বাধ্য হয়েই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

লোটাস টাওয়ার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির নির্বাহী প্রধান প্রসাদ সমরসিংহে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা একে বন্ধ রাখতে পারি না। টাওয়ারটির রক্ষাণাবেক্ষণ খরচ অনেক। সেই অর্থটুকু বের করে আনতে চাই। চাই টাওয়ারকে বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত করতে।  

একই সঙ্গে টাওয়ারের সঙ্গে দোকান এবং অফিসগুলো ভাড়া দেয়া হবে। ভাড়া দেয়া হবে অবজারভেশন ডেকের ঠিক নিচেই অবস্থিত ঘূর্ণায়মান রেঁস্তোরাটি। সেখান থেকে উপভোগ করা যাবে রাজধানী ও ভারত মহাসাগরের সৌন্দর্য।    

news24bd.tv/হারুন